মিরপুর টেস্টে হোয়াইটওয়াশের পথে বাংলাদেশ। পঞ্চম ও শেষ দিনটা ছিল বাংলাদেশের। সেই চ্যালেঞ্জে পুরোপুরি ব্যর্থ বলা চলে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফলোঅনে পড়ে এখন হারের পথে রয়েছে স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান করেছিল ৩০০ রান, ডিক্লে। ৭ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে আজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। যে লাউ সে কদু। সাকিব ছিলেন ২৩ রানে অপরাজিত। তিনি আউট ৩৩ রানে সাজিদ খানের বলে। এরপর লোয়ার অর্ডারের তিন ব্যাটার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ৩২ ওভারে বাংলাদেশ অল আউট।
ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড স্পর্শ করলো বাংলাদেশ। ২০০২ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৮৭ রানে অল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। মিরপুরে ১০০ রানের নিচে এই প্রথম অল আউট বাংলাদেশ। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১১০ রান, ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।
শেষ ব্যাটসম্যান সাকিবকে আউট করে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নেন পাকিস্তানের স্পিনার সাজিদ খান। ৪২ রানে তিনি তুলে নেন ৮ উইকেট। পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ সেরা বোলিং এটি। অফ স্পিনারদের মধ্যে ইতিহাসের সেরা।
আব্দুল কাদিরের ৫৬ রানে ৯ উইকেট পাকিস্তানের সেরা বোলিং, দ্বিতীয় সেরা সরফরাজ নওয়াজের ৮৬ রানে ৮ উইকেট, এরপর ইয়াসির শাহর ৪১ রানে ৮ উইকেট।
অফ স্পিনে আগের সেরা বোলিং ছিল পাকিস্তানের এখনকার প্রধান কোচ সাকলায়েন মুশতাকের ১৬৪ রানে ৮ উইকেট।
বাংলাদেশের বিপক্ষেও এটি টেস্টে সব দল মিলিয়ে সেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ২০০৬ সালে ফতুল্লায় স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের ১০৮ রানে ৮ উইকেট।
ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমেও দুর্দশার মধ্যে রযেছে বাংলাদেশ। সকালে চলছে পেসারদের দাপট। বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান সাদমান, জয়, শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল আউট হয়েছেন দুই অঙ্কের রানের আগেই।