করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই। বর্তমান বাজারে করোনার বিরুদ্ধে যেসব টিকা রয়েছে, সেগুলো ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ টিকাগুলো কাজ করা উচিত। সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. মাইক রায়ান এমন আশাবাদী মন্তব্য করেছেন। গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে ওমিক্রনের বিস্তার থেমে নেই। ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর একে একে ছড়িয়ে পড়েছে ৫৭ দেশে। এই তথ্যটিও ডব্লিউএইচও নিশ্চিত করেছে। ডব্লিউএইচওর জরুরিবিষয়ক পরিচালক ডা রায়ান বলেছেন, করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন কোভিড টিকার সুরক্ষা বা কার্যকারিতা নষ্ট করে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, এমন কোনো ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধে বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ঠেকাতে বিদ্যমান করোনা ভ্যাকসিনগুলো খুবই কার্যকর। করোনার যে কোনো ধরনের বিরুদ্ধেই এসব টিকা কার্যকর। এবং ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এসব টিকা কার্যকর হবে না, এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। নিজের দাবির পক্ষে যুক্ত তুলে ধরে তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তথ্য বলছে, ডেল্টা বা করোনার অন্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রনে বেশি মানুষ অসুস্থ হচ্ছে না। আর অসুস্থদেরও তীব্রতা বেশ কম।
ইতোমধ্যে ৫৭ দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে এটির স্থানীয় সংক্রমণও শুরু হয়েছে। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে সংক্রমণের হার কম; কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে- বর্তমানে দেশে দেশে যেভাবে এটি ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার সামনের দিনগুলোতে অনেক বাড়বে। সেই সঙ্গে বেড়ে যাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও।’
উল্লেখ্য, ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার দুদিন পর করোনার এ ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও। যদিও পরে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।