পশ্চিমাসমর্থিত প্রশাসনের সময়ে আফগানিস্তানে নির্বাচনী কার্যকলাপ তদারকির দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে তালেবান। আল জাজিরা জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনের কোনো ইস্যুতে অভিযোগের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দুটির দিকে ইঙ্গিত করে মুখপাত্র বিলাল কারিমি বলেছেন, ‘এ কমিশন দুটির আর কোনো প্রয়োজন নেই। কখনো যদি আমরা এর প্রয়োজন মনে করি, তবে ইসলামিক আমিরাত এটা আবার গঠন করবে।’
এদিকে তালেবান জানিয়েছে, স্বল্প দূরত্ব ছাড়া অন্য যে কোনো স্থানে ভ্রমণ করতে চাইলে নারীদের অবশ্যই তাদের কোনো পুরুষ অভিভাবককে সঙ্গে রাখতে হবে। কোনো পুরুষ অভিভাবক ছাড়া কোনো নারীকে দূরে কোথাও ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চলমান অবস্থাতেই আগস্টে দেশটির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তালেবানদের হাতে। এখন যে কমিশন তালেবান বিলুপ্ত করল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ আফগানিস্তানে যে কেনো নির্বাচন আয়োজন ও তদারকির দায়িত্ব ছিল তাদের কাঁধে।
একসময়ে ওই নির্বচন কমিশনের নেতৃত্ব দেওয়া আওরঙ্গজেব বলেন, ‘ওরা তাড়াহুড়া করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর কমিশন বিলুপ্ত করার জন্য অনেক কিছু প্রভাবিত হবে। এ কাঠামো যদি না থাকে, তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত যে আফগানিস্তানের সমস্যারও সমাধান হবে না, কারণ সেখানে কোনো নির্বাচনই হবে না।’
আফগানিস্তানের সাবেক সরকারের নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় আগেই বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে চালু করা হয়েছে পুণ্যের প্রচার ও পাপপ্রতিরোধী মন্ত্রণালয়। নব্বইয়ের দশকে তালেবান যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন এই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ ছিল।