ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১০ আসনকে শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। সোমবার এই চিঠি দেয়া হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে একথা জানা গেছে।
আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস রোববার (২৯ ডিসেম্বর) পদত্যাগ করেন।
অন্যদিকে গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো: ইউনুস আলী সরকার মৃত্যুবরণ করায় তার আসনটিকেও শূন্য ঘোষণা করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। ওই আসনের ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে ইসিকে পৃথক চিঠি দেয়া হয়েছে।
এর আগে আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে শেখ ফজলে নূর তাপস এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আতিকুল ইসলামকে প্রার্থী ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। রোববার বেলা ১২টায় ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের নাম ঘোষণা করেন। শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় ঢাকার দুই সিটিতে দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরে মেয়র পদে আতিকুল ইসলামের ওপরই আস্থা রাখলেও দক্ষিণে ফজলে নূর তাপসের হাতে নৌকার বৈঠা তুলে দেয় আওয়ামী লীগ। আতিকুল আগে সর্বশেষ উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, সাঈদ খোকনকে সাথে নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করবো। রাজধানী ঢাকাকে নতুন করে গড়ে তুলবো। রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে মেয়রের নাম ঘোষণা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চান। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সেই উন্নত বাংলাদেশের উন্নত রাজধানী বির্নিমাণ করা অত্যন্ত আবশ্যক। নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনি সিটি করপোরেশনকে দুইভাগে বিভক্ত করেছেন। জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে গেছে, নাগরিকরা তাদের সুযোগ-সুবিধা চাহিদা অনুযায়ী পাচ্ছেন না। ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মানুষ এখনও অবহেলিত। তাদের মৌলিক সুবিধাগুলো তারা এখনও পাচ্ছেন না। জনগণ যদি নির্বাচিত করে তাহলে আমি এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজগুলো করতে পারবো।
কমিশনের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৩১শে ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ২ জানুয়ারি, ২০২০। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ই জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ করা হবে ৩০শে জানুয়ারি।