সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় বিধিনিষেধ তুলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশ। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে মাস্ক পরার নিয়মও তুলে ফেলছে দেশটি। তবে দেশটির এমন সিদ্ধান্ত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে হুমকির কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভবিষ্যতে আরও ভয়ানক ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হতে পারে। ফলে সতর্ক থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্যকর্তাদের জন্য আরও কঠিন সময় আসতে পারে বলেও জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএইচও-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘করোনা নিয়ে যে রাজনীতি হয়েছে, হচ্ছে ও হবে, তা উড়িয়ে দিতে পারবে না কেউই। সাধারণ মানুষের মন রাখতে, ভোট-ব্যাংক বাঁচাতে বিধিনিষেধ বহু দেশ কমিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এখনই অতিমারি শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞেরা। কবে শেষ হবে তা-ও জানা নেই।’
সৌম্য বলেন, ‘সমস্ত করোনাবিধি তুলে দেওয়া বোকামি হবে। অন্তত ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত এই সব বিধিনিষেধ মেনে চলাই উচিত। যে কোনো জায়গায় নতুন ভেরিয়েন্ট তৈরি হতে পারে। একটু ভুলভ্রান্তি হলে আমাদের আবার শুরুতে থেকে শুরু করতে হবে। এজন্য সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।’
তিনি জানান, ৮৫ শতাংশ আফ্রিকান এখনো প্রথম ডোজ পাননি। সেটিও বেশ চিন্তার। একে তো টিকাহীন, তার উপরে করোনা পরীক্ষাও তেমন হচ্ছে না এই মহাদেশে। এই অবস্থায় নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরির আশঙ্কা প্রবল।
তবে তিনি আরও জানান, মানুষকে ধীরে ধীরে ভাইরাসের সঙ্গে বাঁচা শিখতে হবে। তবে তার আগে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও বিজ্ঞান-শিক্ষা বিষয়েই সচেতন হতে হবে।
এদিকে, ব্রিটেনও জানিয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরোনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে তারা। তবে এ ধরনের পদক্ষেপে মোটেই খুশি নয় ডব্লিউএইচও।