মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইলমানির লাশ ইরানে পৌঁছেছে। আজ রোববার ভোররাতে ইরাক থেকে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহওয়াজ বিমানবন্দরে তার লাশ পৌঁছায়। এ সময় আহওয়াজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় শত শত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল শনিবার ইরাকের কাজেমাইন, বাগদাদ, কারবালা ও নাজাফ শহরে জেনারেল সোলাইমানি ও তার সহযোদ্ধাদের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ইরাকের লাখ লাখ মানুষ এসব জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় খুজিস্তান প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর আহওয়াজে জেনারেল সোলাইমানির জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার লাশ নিয়ে যাওয়া হবে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ নগরীতে। সেখানে দুপুরে ইমাম রেজা (আ.)’র মাজার প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর যথাক্রমে তেহরান, কোম ও সোলায়মানির জন্মস্থান দক্ষিণ ইরানের কেরমান শহরে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেনারেলের ওসিয়ত অনুযায়ী কেরমানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।
শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি শাহাদাৎবরণ করেন। ওই হামলায় জেনারেল সোলাইমানির সঙ্গে ইরাকের জনপ্রিয় সরকার-পন্থি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ দু’দেশের মোট ১০ সেনা ও কমান্ডার শহীদ হন।
এসব যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়া থেকে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) উৎখাতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। ওই দুই দেশে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একজন সফল জেনারেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি যা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা মেনে নিতে পারেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা পেন্টাগন জানিয়েছে। আমেরিকার এ ঘৃণ্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। পার্সটুডে।