করোনার কারণে দুই বছর বিরতির পর মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা। এই আনন্দ উৎসবে জন্য রাতদিন কাজ করছেন তারা। তাদের প্রত্যাশা, মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালিকে নিয়ে যাবে সত্য ও সুন্দরের পথে।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল কর মলিন মর্ম মুছায়ে’। লোকজ সংস্কৃতিকে ধারণ করে সাজানো হবে এবারের শোভাযাত্রা। এরই অংশ হিসেবে টেপা পুতুল, ঘোড়া ও মাছের বড় প্রতিরূপ, মুখোশ, পাখি ও পুতুল শোভাযাত্রায় প্রদর্শন করা হবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতির কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা। প্রতিবছর মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে থাকে অনুষদের সিনিয়র ব্যাচ। তাই এবার এসব কর্মযজ্ঞের দায়িত্বে রয়েছেন চারুকলার ২২ ও ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এবারের বাংলা বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার বিষয়ে এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্মাণাধীন মেট্রো রেলের কারণে চলাচলের পথ সরু থাকায় এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা টিএসসি সড়কদ্বীপ থেকে বের করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা স্মৃতি চিরন্তন হয়ে পুনরায় টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে। বর্ষবরণের সব অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের বানানো মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা যাবে না। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না। মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ।