রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেভাজন একজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
তবে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি র্যাব সদস্যরা।
মঙ্গলবার রাতে র্যাব সদর দফতরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কুর্মিটোলায় ঢাবিছাত্রী ধর্ষণ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।’
গতকাল সকাল থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন। এ সময় সরকারের কঠোর পদক্ষেপের সাথে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার তাগিদ দেন তারা।
ধর্ষণের দায় শুধু অপরাধীর না পুরো সমাজের- এমন ভাবনা থেকেই শিক্ষার্থীরা ঘৃণায় কালো কাপড়ে মুখ ঢেকেছেন সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে। এ ছাড়া ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, নির্যাতিত ছাত্রীর চিকিৎসায় গঠিত সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা মঙ্গলবার সকালেও মেয়েটিকে দেখেছেন। তারা মেয়েটির ফিজিক্যাল কন্ডিশনে ট্রমা বা বিশেষ কিছু পাননি। সে প্রথম থেকেই মানসিকভাবে শক্ত রয়েছে।