মাকে দেখতে ২৪ বছর পর দেশে এলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রুহুল আমিন (৩৮)। তবে মায়ের সঙ্গে শেষ দেখাও হলো না তার, বাড়ি যাওয়ার পথেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিনি।
গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শশইয়ে পাথরবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই মাইক্রোবাসে থাকা রুহুল আমিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় আহত হন রুহুলের বাবা ও ছোট ভাইসহ পাঁচজন।
আহতরা হলেন- রুহুলের বাবা আলিম উদ্দিন, ছোট ভাই নুরুল আমিন ও ফখরুল আমিন, মামাতো ভাই এমরান আহমদ এবং বিয়ানীবাজার পৌরশহরের পণ্ডিতপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাইক্রোবাসের চালক বাদশাহ মিয়া।
আহতদের মধ্যে নুরুল আমিন ও গাড়ির চালক বাদশাহ মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড খাটিহাতা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মাইক্রোবাসের চালক ক্লান্ত এবং ঘুমের ঘোরে থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রুহুল আমিনের স্বজনরা জানিয়েছেন, পরিবারের পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে রুহুল আমিন সবার বড়। কিশোর বয়সেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রিন কার্ড’ পেতে তার দীর্ঘ ২৪ বছর লেগে যায়। এরপরই মাকে দেখতে ও বিয়ে করতে দেশে আসেন তিন। খায়রুল আমিন নামে এক ভাই দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। ছোট দুই ভাই নুরুল আমিন ও ফখরুল আমিন এবং ছোট বোন লেখাপড়া করছে।