নীলফামারীর জলঢাকায় কবিরাজি চিকিৎসার সময় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীকে ধর্ষণ-নির্যাতনের মামলায় মিজানুর রহমান (৫০) ও তার ছেলে মবিলুল রহমানকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের এ মামলা করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসার কারণে কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমানের। এক পর্যায়ে কবিরাজি চিকিৎসার মাধ্যমে বশ করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন মিজানুর রহমান। এরপর ওই নারী বিয়ের কথা বললে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে শারীরিক সম্পর্ক ও নির্যাতন করেন তিনি। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ভাড়া বাসায় যাওয়া ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মিজানুর রহমান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার বার যোগাযোগ করেও কথিত স্বামী মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলে তার বাড়িতে যান ভুক্তভোগী নারী। এ সময় কবিরাজ মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা শারীরিক নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বাড়ির বাইরে টেনে এনে কবিরাজের ছেলে মবিলুর রহমান ভুক্তভোগী নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগী নারী জ্ঞান হারালে সেখানে রেখেই পালিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হলে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর মা। ওই মামলায় কবিরাজ মিজানুর ও তার ছেলেকে আটক করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..