নিউইয়র্কে বেন আয়োজিত এক সভা থেকে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে গত ২২ অক্টোবর শনিবার বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)-এর নিউইয়র্ক, নিউজার্সী এবং কানেক্টিকাট স্টেট শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় বৃহত্তর সিলেটের জলাবদ্ধতা ও হাওর অঞ্চলের বন্যা সমস্যার কারণ ও প্রতিকার এবং পরিবেশ আন্দোলনের জনসমর্থন বৃদ্ধির উপায় ও “পরিবেশ মহাসমাবেশ” নিয়ে আলোচনা হয়।
বেন’র নিউইয়র্ক, নিউজার্সি ও কানেক্টিকাটের কো অর্ডিনেটর অধ্যাপক রানা ফেরদৌস চৌধুরীর পরিচালনায় এবং বেন প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ। আলোচনা সভায় বৃহত্তর সিলেটের জলাবদ্ধতা ও হাওর অঞ্চলের বন্যা সমস্যার কারণ ও প্রতিকার শীর্ষক তথ্যবহুল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বেন এর বৈশ্বিক সমন্বয়কারী ড. মোঃ খালেকুজ্জামান।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল, পানি বিশেষজ্ঞ ড. সুফিয়ান এ খন্দোকার, জালালাবাদ এসোসিয়শন অব আমেরিকার সভাপতি বদরুল খান, বেন’র জয়েন্ট কো অর্ডিনেটর ড. ফারুক জামান, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট সুব্রত বিশ্বাস, এডভোকেট নাসির উদ্দিন, শাহিন আজমল প্রমুখ।
সভায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ভিডিও রেকর্ডকৃত বক্তব্য শুনান হয়। আলোচনা সভায় নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্টেটের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল পরিবেশ আন্দোলনের জনসমর্থন বৃদ্ধির উপায় ও “পরিবেশ মহাসমাবেশ” নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে সকলকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষায় আইন আছে, নীতি আছে, বিজ্ঞানসম্মত উপায় নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই, নীতি বাস্তবায়নের সদিচ্ছা ও উদ্যোগ নেই। তারা বলেন, বাংলাদেশে দিন দিন বনভূমি কেটে উজাড় করা হচ্ছে। তা দেখার যেন কেউ নেই। এ সময় উদাহরণ টেনে তারা বলেন, গাজীপুরের বন ছিল ৪০ হাজার একর। এখন সেই বন ৫ হাজার একরে নেমে এসেছে। বক্তারা বলেন, খাল ভরাট হয়েছে। নদীর নাব্যতা হারিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাতেই নদীর দুই তীরে বন্যা দেখা দিচ্ছে। সচেতনতা ও কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার। আইনের সঠিক প্রয়োগে যাদের সম্পৃক্ত করা দরকার তাদের যুক্ত করতে হবে। তা না হলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করেও অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জন করা সম্ভব।
বক্তারা বেনের কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় যোগদানের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান বেন’র নিউইয়র্ক, নিউজার্সি ও কানেক্টিকাটের কো অর্ডিনেটর অধ্যাপক রানা ফেরদৌস চৌধুরী এবং বেন প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম।