করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ১০৬ জন বলে নিশ্চিত করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। আর দেশটিতে নতুন এ করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এখন চার হাজারেরও বেশি।
ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্রমণ কিংবা চলাচলে আরো বাধানিষেধ আরোপ করেছে চীন সরকার।
উহান শহর, যেখান থেকে প্রথম এ ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছ, সেই শহরটি কার্যত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ওদিকে চীনের বাইরেও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর ও জার্মানিতে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে।
পুরো চীন জুড়ে বহু শহরে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী?
ভাইরাসটি এমন সময়ে ছড়ানো শুরু করলো যখন চীনা নববর্ষ পালিত হতে যাচ্ছে যে সময়টিতে লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর, আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে সাক্ষাতের জন্য ব্যাপক ভ্রমণ করে থাকে।
তবে ভাইরাস সংক্রমণ যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য চীন সরকার নববর্ষের ছুটি তিনদিন বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রেও কয়েকজনের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটি তার নাগরিকদের চীনা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছে, বিশেষ করে উহান যেই প্রদেশে সেই হুবেই ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
আরও কিছু দেশ জরুরি প্রয়োজন না হলে নাগরিকদের চীন ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে আর কিছু দেশ উহানে আটকে পড়া তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে পরিকল্পনা করছে।
তবে চীনের বাইরে এখনো কারো মারা যাওয়ার খবর আসেনি।
সূত্র : বিবিসি