বর্তমানে যারা ঢাকাই চলচ্চিত্রে কাজ করছেন তাদের নিয়ে চিত্রনায়িকা মৌসুমী বলেছেন, ‘আমাদের শিল্পীরা যারা নতুন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে তারা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অনেক ভালো কাজ করছে। তারা অনেক মেধাবী। আপনাদের (সাংবাদিক) দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, তাহলে তারা আরো অনেক ভালো কাজ করতে পারবে। আপনারা যদি তাদের শুধু স্ক্যান্ডাল খোঁজেন তাহলে তারা এগিয়ে যেতে পারবে না। তাদের অনেক উৎসাহ দিতে হবে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মৌসুমী বলেন, ‘আমরা যখন কাজ করেছি, সাংবাদিক ভাইয়েরাই আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রোটেক্ট করেছেন। নতুন কাজ করার সময় আমরাও অনেক ভুল-ভ্রান্তি করেছি। সেটাকে শুধরে নেয়া, সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা, কাউন্সেলিংয়ের মধ্য দিয়ে সঠিক পথে দাঁড় করিয়ে দেয়ার কাজটা সাংবাদিক ভাইয়েরাই করেছেন।’
মৌসুমী আরো বলেন, ‘এখনকার সাংবাদিকরা তা করেন না। এখন সাংবাদিকরা যাচ্ছেতাই বলেন, যাচ্ছেতাই ভিডিও করেন, যা-তা টাইটেল দিয়ে নিউজ ছেড়ে দেন। আপনাদের কারণে আমাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য ভালো হওয়ার কোনো রাস্তা অবশ্য নেই। তারপরও আপনাদের দায়িত্ব দিলাম। আপনারা ঠিক করেন।’
মৌসুমী ও ফজলুর রহমান বাবু অভিনীত মির্জা সাখাওয়াত হোসেন পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভাঙন’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১১ নভেম্বর।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাই সিনেমার প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, প্রাণ রায়, মির্জা আফরিন ও সিনেমার পরিচালক মির্জা সাখাওয়াত হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী বলেন, ‘রেললাইনের পাশে, বস্তিতে কিংবা ছিন্নমূল জীবনযাপন করে যারা, তাদেরও জীবন আছে। সেই জীবনের গল্প দেখানো হয়েছে এই ভাঙন সিনেমায়। সেইসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সহযোগিতার হাত বাড়ানোর বার্তা রয়েছে এই ছবিতে। ধনী শ্রেণি তো অসহায় মানুষদের শোষণ করে যাচ্ছে। সেই শোষণ থেকে বিরত থাকা, অসহায় মানুষদের সুন্দর করে বাঁচার সুযোগ তৈরি করে দেয়া, তাদেরও দেশের মাটিতে সমান অধিকার রয়েছে- এই বক্তব্যগুলোই সিনেমাটিতে চলে এসেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক মির্জা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভাঙন চলচ্চিত্রের গল্প মানবজীবনের গভীরকে স্পর্শ করবে। মানুষ কাঁদবে। কষ্ট পাবে। শিহরিত হবে, রোমাঞ্চিত হবে। মূলত কতিপয় ছিন্নমূল মানুষের সুখ-দুঃখের উপাখ্যানই হলো ভাঙন।’
এরইমধ্যে ৩০টির অধিক সিনেমা হলে ‘ভাঙন’ মুক্তি পাচ্ছে বলে প্রযোজনা সংস্থা নিশ্চিত করেছে। প্রযুক্তিবাংলা কথাচিত্রের ব্যানারে নির্মিত জীবন-ঘনিষ্ঠ সাহিত্যনির্ভর এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে ‘মোহন গায়েনের বাঁশি’ নামক একটি ছোটগল্প অবলম্বনে।
২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য এই চলচ্চিত্রে আরো অভিনয় করেছেন মির্জা আফরিন, প্রাণ রায়, সৃষ্টি মির্জা, রাশেদা চৌধুরী, খলিলুর রহমান কাদেরী, হিমেল রাজ, আনোয়ার সিরাজী, সঞ্জয় রাজ, মিশু চৌধুরী ও মির্জা সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
সূত্র : ইউএনবি