অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) মঙ্গলবার ভোটের এই নতুন তারিখ ঘোষণা করে।
৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। আগের মতো এই ভোটে সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে বলে জানানো হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সুপারিশে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে এ ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
ভোটে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এগুলো অবশ্যই থাকবে। নির্বাচনে যেহেতু আংশিক তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সমস্ত কার্যক্রম বিধি মোতাবেক অনুষ্ঠিত হবে।’
কবে থেকে প্রচারণা করতে পারবে প্রশ্নের জবাবে ইসির যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহম্মেদ বলেন, ‘তারিখ ঘোষণার পরপরই প্রচারণায় কোনো বাধা নেই।’
পরে সচিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা আমাদের বিধান অনুযায়ী শুরু করতে পারবে।’
গত জুলাইয়ে সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়ম ও দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের পাঁচ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তকাসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্র সিসি টিভি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে মনিটরিং করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ভোটে অনিয়ম ধরা পড়লে ভোট গ্রহণের চার ঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোট শেষের দেড় ঘণ্টা আগেই এ ভোট বন্ধ ঘোষণা করে কমিশন।
সূত্র : বাসস