নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ১৬ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদায় ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত অতিথিবৃন্দসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহিদ, ৭১-এর সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন ত্রিশ লক্ষ শহিদ ও দুই লক্ষ wbh©vwZZ মা-বোনদের অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা । তিনি বলেন, জাতির পিতা একটি সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন যা বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তিনি নতুন প্রজন্মের মাঝে জাতির পিতার আদর্শ ও দর্শন এবং স্বাধীনতার ইতিহাস ও গৌরবগাঁথা তুলে ধরার জন্য সকলকে আহবান জানান। উন্মুক্ত আলোচনায় বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসানের পরিবেশনা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, ৭১-এর সকল শহিদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সান্ধ্যকালীন ২য় পর্বে বিদেশী অতিথিদের অংশগ্রহণে কনস্যুলেটে একটি রিসিপশনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। স্বাগত বক্তব্যে কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট ও Zvrch© তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মাত্রা ও গভীরতার উপর আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, উপ প্রতিনিধি ডঃ এম মনোয়ার হোসেন, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিশনার দিলিপ চৌহানসহ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকবৃ্ন্দ উপস্থিত ছিলেন। কমিউনিটির শিল্পীদের দ্বারা মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।