শীতকালীন ঝড়ের কবলে পড়ে তীব্র ঠাণ্ডায় কাবু যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২০ কোটি মানুষ। এতে এখন পর্যন্ত দেশটির অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসি বলছে, ১৫ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এবং শুক্রবার দেশজুড়ে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দেশটি সাউথ ডাকোটায় জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় মানুষ কাপড় পুড়িয়ে নিজেকে গরম রাখছে।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) জানিয়েছে, দেশের কিছু অংশে এই সপ্তাহের শেষ নাগাদ তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৫ থেকে ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে পর্যন্ত নেমে আসতে পারে।
তারা আরও সতর্ক করেছে, আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডেস মোনেসের মতো বড় মেট্রো শহরেরও, ফ্রস্টবাইট বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সাধারণত রক্ত প্রবাহ কমে গেলে, প্রায়শই নাক, গাল বা হাত পায়ের আঙ্গুলে ফ্রস্টবাইট হতে পারে। শরীরে উষ্ণ রক্ত প্রবাহের অভাবে ত্বকের টিস্যু জমে গিয়ে ফেটে যেতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে অঙ্গহানি পর্যন্ত হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এটি আপনার ছোটবেলায় দেখা সাধারণ তুষার দিনের মতো নয়, এটি খুবই গুরুতর পরিস্থিতি।
আর্কটিক বায়ু প্রবাহ টেক্সাসের এল পাসোতে তাপমাত্রা মাইনাস ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনতে পারে, সেইসঙ্গে তীব্র বাতাস বয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফ্লোরিডায় ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ঠাণ্ডা ক্রিসমাস দেখতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।