ঘরের মাঠে হেরে গেল চট্টগ্রাম। ফরচুন বরিশালের কাছে ৪০ রানে হেরেছে বন্দরনগরীর দলটি। বরিশালের দেয়া ২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭৬ রানে থেমেছে স্বাগতিকদের ইনিংস। ফলে বিষন্ন মনেই ঘরে ফিরতে হবে চট্টলার সমর্থকদের। এদিকে টানা দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কীর্তনখোলা পাড়ের দলটি।
বরিশালের ছুড়ে দেয়া ২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল চট্টগ্রাম, লড়াই করছিল সমানে সমানে। যেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান উসমান খান। তবে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৪৮ রানে উসমান খান ফিরে গেলে কমে আসতে থাকে চট্টগ্রামের আগ্রাসন। উসমান আউট হন ১৯ বলে ৩৬ রান করে। আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও ডাউডকে ফেরান সাকিব, তার ব্যাটে আসে ২৯ রান।
তবে ধারাবাহিক ব্যর্থ উন্মুক্ত চাঁদ। বিপিএলে যেন চাঁদের আলো ঢেকে আছে মেঘের আঁধারে। আজ ফেরেন ২১ বলে মাত্র ১৬ রান করে। অন্যদিকে নিজের ইনিংসটা সাজানোর চেষ্টা করেছেন আফিফ, জিয়াউরকে নিয়ে গড়েন ৪২ রানের জুটি। ১৭.১ ওভারে আউট হবার আগে তার ব্যাটে আসে ২১ বলে ২৮ রান। এরপরের সময়টা শুধু জিয়াউরের, শুভাগত হোমের সাথে গড়েন ১৯ বলে ৪৫ রানের হার না মানা জুটি। যেখানে জিয়াউরের অবদান ১১ বলে ৩৩ রান।
বড্ড অসময়ে জ্বলে উঠেছিলেন জিয়াউর, ততক্ষণে তার দলের হার নিশ্চিত হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ৪৭ রানে, শুভাগত হোমের ব্যাটে আসে ৫ বলে ৯ রান। বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট পান সাকিব, খালেদ, রাব্বি ও করিম জানাত।
এর আগে ইফতেখার আহমেদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে স্বাগতিক চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২০২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ফরচুন বরিশাল। ইফতেখার ২৬ বলে অপরাজিত ছিলেন ৫৭ রানে। বরিশালের হয়ে রান পেয়েছেন দলের বাকি ব্যাটাররাও।
এইদিন বরিশালের হয়ে ইনিংসের উদ্বোধনীতে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গী ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সুযোগ পেয়ে শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলতে থাকেন মিরাজ, বিজয়ের সাথে গড়ে তুলেন ৩৩ রানের জুটি। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ১২ বলে ২৪ রান করে তাইজুলের শিকার হন মিরাজ। প্রথম দুই বলে দুই চার হাঁকিয়ে তৃতীয় বলেই ফিরেন সাকিব আল হাসানও। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে আসে ৫৯ রান।
ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এনামুল, ২১ বলে ৩০ করে ফিরেছেন তিনি। তবে মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরে রেখেছেন ইবরাহীম জাদরান, ঠিক রেখেছেন রানের গতিও। বিজয়ের সাথে ২৫, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে ৩১ বলে ৪৯ ও ইফতেখারের সাথেও গড়েন ২৫ রানের জুটি। ৩৩ বলে ৪৮ রান করেন ইবরাহীম, মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে আসে ১৭ বলে ২৫ রান।
এরপর থেকে শুরু হয় ইফতেখার ঝড়, করিম জানাতের সাথে ১২ বলে ২৩ রানের জুটি। ৬ রান করে করিম জানাত ফিরলে পরের জলেই চতুরঙ্গ ডি সিলভাও ফিরেন ০ রান করে। ফলে যখন মনে হচ্ছিল হয়তো ইনিংসের শেষটা চট্টগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করবে, তখনই অগ্নীরূপ ধারণ করেন ইফতেখার। রাব্বির সাথে গড়েন হার না মানা ১০ বলে ৩৪ রানের জুটি, যেখানে মাত্র ২ রান রাব্বির। ২৬ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইফতেখার, ৪৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি।