জয়ের অপেক্ষা বাড়লো কুমিল্লার। আসরে তিন ম্যাচ খেলে এখনো জয়ের স্বাদ পাওয়া হয়নি দলটির, হেরেছে তিনটি ম্যাচেই। বিপরীতে হার দিয়ে আসর শুরু করলেও বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বরিশাল, জয় পেয়েছে পরের তিনটি ম্যাচেই। মঙ্গলবার ১২ রানে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। আর জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে সমানতালে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
এদিন বরিশালের দেয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় কুমিল্লা। ৫.৩ ওভারে দুই ওপেনার যোগ করেন ৪২ রান। জুটি ভাঙে রিজওয়ান ১১ বলে ১৮ রান করে ফিরলে। লিটন দাস ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, আউট হন ২৬ বলে ৩২ রান করে। ওয়ানডাউনে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তবে বিধ্বংসী হয়ে উঠার আগে তাকে ফেরান সিলভা, আউট হবার আগে খেলেন ১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংস।
এদিকে ১ রানের ব্যবধানে ফিরে যান চ্যাডউইক ওয়ালটন ও জাকের আলি। ০ রানেই ফিরেছেন জাকের, ১৪ রান করে সাকিবের শিকার ওয়ালটন। তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় ভিক্টোরিয়ান্স, মোসাদ্দেক ও খুশদিল শাহ মিলে গড়ে তোলেন ৩৩ বলে ৫৪ রানের জুটি। তবে ১৯ বলে ২৭ করে ১৯তম ওভারে মোসাদ্দেক ফিরলে শেষ হয়ে যায় জয়ের স্বপ্ন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ২৫ রান, তবে ১১ রান তুলেই শেষ হয় কুমিল্লার লড়াই।
৭ উইকেটে ১৬৫ রানে থমকে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ২৭ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন খুশদিল শাহ। ৩ ওভারে মাত্র ১১ রানে ১ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। সমান একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইফতেখার, করিম জানাত, ডি সিলভা ও কামরুল ইসলাম।
এর আগে বিপিএলের চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব আল হাসান। আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ৪৫ বলে ৮১ রানের ইনিংস। ব্যাট হাতে সাকিবের এমন বিধ্বংসী হয়ে উঠার দিনে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে তার দল ফরচুন বরিশাল।
তবে এইদিন আগের দিনের মতো দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারেননি এনামুল হক বিজয় ও মেহেদী মিরাজ। মিরাজ ৯ বলে ৬ ও বিজয় আউট হন ২০ বলে ২০ রানে। মাঝে ১২ বলে ঝড়ো ২১ রান করে আউট হয়েছেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। চার নাম্বারে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন সাকিব।
সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন ইবরাহীম জাদরান। দুজনের জুটিতে আসে ৩৮ বলে ৫০ রান। তাদের জুটি ভাঙে ২০ বলে ২৭ রান করে জাদরান আউট হলে। তবে এবার ইফতেখারের সাথে ২৩ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন সাকিব। যেখানে ইফতেখারের অবদান ৮ বলে মাত্র ৫ রান।
ইফতেখার ৫ রান করে আউট হলে পরের বলেই ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদকে কোনো রান করার সুযোগ দেননি তানভীর ইসলাম। তবে ৮ম উইকেট জুটিতে করিম জানাতকে নিয়ে ৮ বলে ১৭ রান যোগ করেন সাকিব। ফলে দলীয় রান পৌঁছে ১৭৭ রানে। ৫ বলে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন করিম জানাত। কুমিল্লার হয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করছেন তানভীর ইসলাম।