আবারো তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে রানের ফোয়ারা, স্বরূপে ফিরেছেন এই তরুণ ব্যাটার। আজ খুলনার বিপক্ষে পেয়ে গেছেন আসরে নিজের চতুর্থ অর্ধশতক, খেললেন ৪৯ বলে ৭৪ রানের চোখজোড়ানো ইনিংস। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন জাকির হাসানও। এই দুজনের জোড়া ফিফটিতে ভালো সংগ্রহ পেয়েছে তাদের দলও, নির্ধারিত ওভার শেষে ১৯২ রানে থেমেছে সিলেটের ইনিংস।
সোমবার সবার নজর ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দিকে। আগের ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেও অসন্তুষ্ট শান্ত, আজ রানের জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবেন; এমনটাই ভেবেছিল সবাই। তবে নিরাশ করেছেন তিনি, আউট হন ১২ বলে মাত্র ৬ রান করে। তবে শান্ত না পারলেও এইদিন জ্বলে ওঠেন আরেক ওপেনার তৌহিদ হৃদয়, শুরু থেকেই সাবলীলভাবে খেলতে থাকেন তৌহিদ।
তৌহিদকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকির হাসান। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে জ্বলে ওঠেন তিনিও। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে গড়েন শতরানের জুটি, যোগ করেন ৭১ বলে ১১৪ রান। জুটি ভাঙে ছক্কাবিহীন ৯ চারে ৪৯ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে তৌহিদ হৃদয় ফিরে গেলে। তাকে আউট করেন খুলনার সাড়া জাগানো পেসার নাহিদ রানা।
সঙ্গীকে হারানোর পর দ্রুত ফেরেন জাকির হাসানও। তবে আউট হবার আগে তুলে নেন বিপিএলে নিজের প্রথম অর্ধশতক। তবে এরপর ইনিংস আর বড় হয়নি, ২ চার আর ৪ ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৩ করেই ফেরেছেন তিনি।
বড় হয়নি মুশফিকুর রহিম আর রায়ান বার্লের চতুর্থ উইকেট জুটিও, ১৫ রানের জুটি ভাঙে ৭ বলে ৭ করে মুশফিক মার্ক ডায়ালের শিকার হলে। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে রান আসে ঝড়ো গতিতে। বার্ল আর থিসারা পেরেরা মিলে শেষ ১০ বলে যোগ করেন ৩০ রান। পেরেরা ৭ বলে ১৭ ও বার্ল অপরাজিত ছিলেন ১১ বলে ২১ রানে। সেই সাথে সিলেটও থামে ৪ উইকেটে ১৯২ রানে।