অবিশ্বাস্য পরাজয় ইংল্যান্ডের, অভাবনীয় জয় পেল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ফলোঅনে পরেও থ্রি লায়ন্সদের হারিয়ে দিয়েছে কিউইরা, ষোল আনা শিহরণ জাগানো ম্যাচটা এক রানে জিতে নিয়েছে তারা। টেস্ট ক্রিকেটেও যে কতটা উত্তেজনা থাকে, এই একটা ম্যাচে তার সবটাই দেখা মিলেছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের ছুঁড়ে দেয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ২৫৬ রানে থেমেছে ইংলিশদের ইনিংস। টানা ছয় ম্যাচে জয়ের পর হারের স্বাদ পেল থ্রি লায়ন্সরা।
এই জয়ে সিরিজ হার থেকে বেঁচে গেছে কিউইরা, ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে সিরিজ।
এক উইকেটে ৪৮ রান নিয়ে পঞ্চন দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। লক্ষ্যটা সহজ, প্রয়োজন মাত্র ২১০ রান, হাতে ৯ উইকেট। তবে কিউইরা যে ছেড়ে কথা বলবে না, তার প্রতিচ্ছবি দেখা মেলে পঞ্চম দিনের শুরুতেই। ১৩ রান যোগ করতেই হারায় ওলে রবিনসন ও বেন ডাকেটের উইকেট। ৩৩ রান করা ডাকেটকে ফেরান হ্যানরি, ২ রান করে সাউদির শিকার রবিনসন।
ওলে পোপও দাঁড়াতে পারেননি, ১৪ রানে ফেরেন তিনি। আর সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হ্যারি ব্রুক এইদিন রানের খাতা খুলতেই পারেননি, রান আউটের শিকার এই ব্যাটার। দলীয় সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ৮০ রান। তবে জো রুটের ব্যাটে আশা দেখতে থাকে ইংলিশরা, একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন তিনি।
জো রুটকে ভালো সঙ্গ দিতে থাকেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। দু’জনে মিলে গড়ে তুলেন ১২১ রানের জুটি। ফলে ম্যাচ আবার চলে যায় ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে, মনে হচ্ছিলো থ্রি লায়ন্সদের জয় পাওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে তা আর হয়নি, বাঁধা হয়ে দাঁড়ান নেইল ওয়াগনার। পরপর দুই ওভারে ফেরান এই দু’জনকেই। রুট ৯৫ ও স্টোকস আউট হন ৩৩ রানে।
এরপর একাই লড়াই চালান বেন ফোকস। ব্রডের সাথে ১৩ ও জ্যাক লিচের সাথে গড়েন ৩৬ রানের জুটি। জয়ের জন্য যখন প্রয়োজন মাত্র ৭ রান, তখন ৩৩ রান করে সাউদির শিকারে পরিনত হন এই অলরাউন্ডার। শেষ উইকেটে আন্ডারসন-লিচ জুটি ৫ রান যোগ করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
আন্ডারসনকে ওয়াগনার ফেরাতেই উল্লাসে মেতে উঠে ব্ল্যাক ক্যাপস বাহিনী, ২৫৬ রানেই অলআউট হয় ইংলিশরা। ১ রানের অবিশ্বাস্য জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬২ রান খরচায় চার উইকেট নেন নেইল ওয়াগনার। তিনটি উইকেট শিকার করেন সাউদি। দু’টি নেন হেনরি।
অথচ এর আগে প্রথম ইনিংসে রুট-ব্রুকের সেঞ্চুরিতে ৪৩৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্রড-আন্ডারসন জুটির কাছে ২০৯ রানেই অসহায় আত্মসমর্পণ করে নিউজিল্যান্ড। ফলোঅনে পড়া দলটি কেন উইলিয়ামসনের ১৩২ এবং ব্লান্ডেলের ৯০ রানের সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮৩ রান করে। ফলে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫৮ রান।