যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় সোমবার বিদেশি অতিথি ও কূটনীতিকদের সম্মানে ‘ডিপ্লোম্যাটিক রিসেপশন’ আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল, কূটনীতিক, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিস, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট অফিসের প্রতিনিধি, বিদেশি অতিথি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্র সচিব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখেরও বেশী নির্যাতিত মা-বোনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রায় সকল সূচকে অভাবনীয় অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সাথে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে মাসুদ বিন মোমেন দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। তিনি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক ‘স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের’ অভ্যূদয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।