বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে গত নির্বাচনে ভোটে জয়ী হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। যদিও শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত আসনে তার বসা হয়নি। আর এই ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
এবার এই ঘটনা মোড় নিয়েছে অন্যদিকে।
রোববার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এক সভায় জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। এফডিসি প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চিত্রনায়ক সায়মন সাদিক জানান, কার্যনির্বাহী পরিষদের নবম সাধারণ সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সকল সদস্যদের সম্মতিতে জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।
সদস্যপদ স্থগিতের কারণ হিসেবে সায়মন জানান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কথা বলেছেন জায়েদ খান।
গণমাধ্যমে সায়মন বলেন, ‘চিত্রনায়ক জায়েদ খান ভুয়া কাগজে বর্তমান কমিটির সভাপতির হাতে শপথ নিয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, অপমানজনক বক্তব্য রেখেছেন; যা শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপ। তাকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এসব অভিযোগের জবাব চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। তিনি সময়মতো উত্তর দেননি। এমতাবস্থায় শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত সবাই মিলে তার সদস্যপদ স্থগিতের পক্ষে রায় দিয়েছেন।’
সায়মন আরো বলেন, ‘সমিতির উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে শিগগিরই। সেখানে যদি জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিলের আদেশ হয়, তাহলে শিল্পী সমিতির সদস্য থাকবেন না জায়েদ খান।’
উল্লেখ্য, ২২ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানকে লিখিত নোটিশ পাঠানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। যেখানে জানানো হয় সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭(ক) ধারা মোতাবেক জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিতের কথা ভাবছে সংগঠন।
এ নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও অবশেষে চিঠির জবাব দেন জায়েদ খান।
নিপুণ বরাবর দেয়া চিঠিতে জায়েদ লিখেছেন, ‘২২ ফেব্রুয়ারি আপনার ইস্যুকৃত বেআইনি নোটিশের জবাব। আমি পেশাগত কাজে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করি। এ সময় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে ২২ ফেব্রুয়ারি অবৈধ নোটিশটি প্রেরণ করেন আমাকে। আমি দেশের বাইরে থাকায় যথাসময়ে নোটিশটি আমার ওপর জারি হয় নাই। ৩১ মার্চ সেটি আমি পেয়েছি। নোটিশের জবাব প্রদান করা হলো।’