নিউইয়র্ক জরিমানা না দেওয়া নগরীতে পরিণত হয়েছে। অন্যায় করবে, কিন্তু জরিমানা দিতে অনীহা! দুই-চার টাকা নয়, ২.১ বিলিয়ন ডলার জরিমানা বকেয়া জমে আছে নিউইয়র্কের অধিবাসীদের নামে। কার পার্কিং, রাস্তা পারাপার, সেফটি কোর্ড, সম্পত্তি-সম্পর্কিত লঙ্ঘন ইত্যাদি নানা অপরাধের কারণে ২০১৭ সাল থেকে নিউইয়র্কের অধিবাসীদের কাছে এই পরিমাণ জরিমানা বকেয়া পড়ে আছে বলে নতুন এক বিশ্লেষণে জানা গেছে।
অবশ্য, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বাজেট অফিস জানিয়েছে, প্রকৃত পরিমাণ হতে পারে আরো অনেক বেশি। কারণ এই সমীক্ষা থেকে স্থানীয় আয় ও বিক্রয় করসহ অনেক অপরিশোধিত বিল বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী, ২.১ বিলিয়ন ডলার বকেয়ার মধ্যে পার্কিং এবং রেড লাইট ক্যামেরার কারণে জরিমানাই পরিশোধ বাকি আছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি। আর ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বাকি রয়েছে সম্পত্তি কর ও সংস্কার বিল। অন্যদিকে নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা আইন লঙ্ঘনের জন্য করা ৯৪০ মিলিয়ন ডলারের বেশি জরিমানা এখনো আদায় করা যায়নি।
এই জরিপ পরিচালনা করার জন্য অনুরোধকারী ম্যানহাটানের কাউন্সিলওম্যান গেল ব্রেওয়ার বলেন, ‘এটি হতাশাজনক খবর। যারা পাওনা পরিশোধ করে, তারা দেখতে পাচ্ছে যে অনেকেই কাজটি করছে না। জরিমানা আদায়ে আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। আমাদের আরো ভালোভাবে কাজ করতে হবে।’
নিউইয়র্ক সিটিতে রেড লাইট, গতি ও বাস লেন ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর কারণে অপরিশোধিত পার্কিং ও ক্যামেরা আইন লঙ্ঘনের জরিমানা বেশ বাড়ছে।
নগরীতে ২০১৭ সালে পার্কিং ও ক্যামেরা-সম্পর্কিত জরিমানা বকেয়া ছিল ৭০ মিলিয়ন ডলার। এই বকেয়া ২০২০ সালে বেড়ে হয় ১১৯ মিলিয়ন ডলার। আর ২০২১ সালে ২৭৬ মিলিয়ন এবং ২০২২ সালে ৩৬৭ মিলিয়ন ডলার হয়।
অন্যদিকে ২০২০ সালের আগে ইস্যু করা জরিমানাগুলোর প্রায় ১০ ভাগ অপরিশোধিত রয়ে গেছে। ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত বকেয়া থাকার পরিমাণ আরো বেড়েছে।