২০২২ সালটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে লাতিন আমেরিকার পরাশক্তি আর্জেন্টিনার। তিন যুগের অপেক্ষার পর গেল বছরের শেষ দিকে এসে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফির আক্ষেপ ঘুচেছে আলবিসেলেস্তেদের। নিজের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জিতিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।
ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতেছেন, একের পর এক সাফল্যে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তবে একমাত্র খেদ বলতে ছিল সেই বিশ্বকাপের বহু আরাধ্য সোনালি ট্রফিটা। ২০১৪ বিশ্বকাপে ট্রফিটার খুব কাছাকাছি গিয়েও মেসিকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। তবে ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে ঈশ্বর হতাশ করেননি ফুটবল জাদুকরকে। কাতার বিশ্বকাপে নিজে যেমন দুরন্ত ছন্দে থেকেছেন, দলকেও নিয়ে গেছেন সাফল্যের শিখড়ে। হাত উঁচিয়ে বিশ্বকে দেখিয়েছেন প্রাপ্তির খাতায় বাকি নেই আর কিছুই।
দারুণ ছন্দে থেকে দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে গেল ফেব্রুয়ারিতেই জিতে নেন ২০২২ সালের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি ‘দা বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’। এছাড়া চলতি বছরের ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে ফেবারিট হিসেবেও দেখা হচ্ছে পিএসজির এই তারকাকে। এবার মহাতারকার সাফল্যের মুকুটে আরও তিন পালক যুক্ত হলো।
ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করে জুরিখ ভিত্তিক সংস্থা আইএফএফএইচএস-এর তিনটি পুরস্কার জিতলেন মেসি। ২০২২ সালে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, সেরা প্লেমেকার ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে সেরা গোলদাতার পুরস্কারও পেয়েছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। গতকাল (শুক্রবার) আইএফএফএইচএস তাদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আইএফএফএইচএসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পুরস্কার জিতেছেন মেসি। ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৩টি অ্যাওয়ার্ড তার ঝুলিতে।