ঈদ উল ফিতরের চাঁদ রাতে নিউইয়র্ক ব্রুকলিনের কেনজিংটনে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পারফর্মিং আর্ট’ এর উদ্যোগে এবং ও প্রহেল্থ হোমকেয়ারের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল ওম্যান শাহানা হানিফের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজন করা হয় হেনা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ শিশুদের জন্য নানান রকমের খেলাধুলা ও মজার অনুষ্ঠান। এদিন কেনজিংটনে রচিত হলো এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। যুক্তরাস্ট্রে নির্মিত বহুল আলোচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ ভালবাসার মূল্য কত’ বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয় জনবহুল ব্যস্ত এলাকার সড়কের পাশে। নিউইয়র্ক সিটি গভর্নমেন্টের অনুমোতি ক্রমে মুভিটি সবার জন্য উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন করা হলো। বিভিন্ন ভাষা–সংস্কৃতি এবং নানা বর্ণের শতশত মানুষ জড়ো হয় মুভিটি উপভোগ করার জন্য। তাছাড়া নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ সহ উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক দর্শক।
আয়োজকরা জানান, আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম খোলা আকাশের নিচে কোনো ‘বাংলা মুভি’ বড় পর্দায় প্রদর্শনের সুযোগ পেলো। আমেরিকার অবৈধ ইমিগ্রান্টদের জীবনের কাহিনী নিয়ে রচিত মুভিটির পরিচালক সাইয়েদ আর ইমন জানান, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় একটি বাংলা চলচ্চিত্রের এই প্রদর্শন আমেরিকার বাংলাদেশী জনগোষ্ঠির জন্য একটা গর্বের বিষয়। মূল চরিত্রে অভিনয় শিল্পী তরিকুল ইসলাম মিঠু জানান, নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জন্য মুভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করেছে। আমেরিকার বাংলাদেশী কমিউনিটির উত্থানের পিছনে হাজারো ইমিগ্রান্টের ত্যাগের গল্প ভবিষ্যত প্রজন্ম শ্রদ্ধাভরে শ্মরণ করবে।মুভিটি দেখে উপস্থিত দর্শক অনেকেই অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি। তারা মুভিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপার কর্ণধার এ্যানি ফেরদৌস, এটর্নি মইন চৌধুরী, এটর্নি ক্যাথি পোলিয়াস, তরুন রাজনীতিক মামনুন হক, কেনজিংটন স্টুয়ার্টের স্বপন, নিলুফার জাহান এবং মামুনুর রশীদ প্রমুখ।