আবারো জ্বলে উঠলেন ফখর জামান, আরো একটা শতক তার ব্যাটে। ছিল মাত্র কুড়ি রানের ব্যবধান, ম্যাচটা শেষ না হলে পেয়ে যেতেন আরো একটা দ্বি-শতকও। তবে যা করেছেন, দলের জয়ের জন্য তাই ছিল যথেষ্ট। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে সাচ্ছন্দ্যেই জয় পেয়েছে পাকিস্তান। শনিবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে ৭ উইকেটে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে জেতাতে শনিবার ১৪৪ বলে ১৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ফখর। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও শতক পেয়েছিলেন ফখর জামান, খেলে ছিলেন ১১৭ রানের ইনিংস। শতকের দেখা (১০১) পেয়েছিলেন এর আগের ম্যাচেও। যেই ম্যাচ অবশ্য খেলেছিলেন মাসতিনেক আগে; এই বছরের ১৩ জানুয়ারিতে। টানা এই তিন শতক হাঁকিয়ে শতকের হ্যাটট্রিক গড়েছেন ফখর৷ আর এই তিন ম্যাচেই প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড!
এর আগে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দলীয় ৩৩ রানে উইল ইয়ংকে (১৯) ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তবে এরপর দৃশ্যপটে আসেন ডেরিয়েল মিচেল। চাঁদ বোসের সাথে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৮৪ বলে ৮৬ রান। বোস ৫১ রান করে ফিরলেও বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে উঠে সেখানেই।
যেই ভিতে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক টম লাথামকে নিয়ে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থালেন মিচেল। স্বভাবজাত খেলতে শুরু করেন দু’জনেই। দু’জনের এই জুটিতে যোগ হয় ১৬০ বলে ১৮৩ রান! ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে মিচেল ১১৯ বলে ১২৯ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। দলীয় সংগ্রহ তখন ৪৫.৩ ওভারে ৩০২ রান।
আর ১০ রান যোগ করেই পরের ওভারে আউট হয়ে যান লাথাম। নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হয়েছেন তিনি। আক্ষেপ সঙ্গে করে ফেরেন ৮৫ বিলে ৯৮ রান করে। এরপর জিমি নিশামের ১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। ৭৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন হারিস রউফ।
৩৩৭ রানের বিশাল লক্ষ্য সাচ্ছন্দ্যেই পাড়ি দিয়েছে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিই ভাঙে দলীয় ৬৬ রানে। আজ ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমাম উল হক, ২৪ রান করে আউট হন তিনি। তবে পরের উইকেটের দেখা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। ১২৩ বলে ১৩৫ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম ও ফখর জামান। ৬৬ বলে ৬৫ রান করেন বাবর আজম।
জয়ের থেকে পাকিস্তান তখন মাত্র ২০ ওভারে ১৩৬ রানের দূরত্বে। হাতে ৮ উইকেট। ম্যাচটা টি-টোয়েন্টি হয়ে পড়ায় পরিস্থিতির সঙ্গে রিজওয়ান-ফখরের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি। ৮৬ বলে ১১৯ রানে অবিচ্ছিন্ন জুটি থেক্র দলকে জয় উপহার দেন ফখর-রিজওয়ান। ৭ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
বাবর আউট হবার পর চারে নামা আব্দুল্লাহ শফিক এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ১৪ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি। যদিও তা জয়ের পথে বাঁধা হতে পারেনি ফখর ১৮০ ও রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৫৪ রান করে। কিউইদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি কোনো বেলার।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে জয় পেল পাকিস্তান। সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।