একদিনের ক্রিকেটে এতদিন সেঞ্চুরির দেখা পাননি আফিফ হোসেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে সেই আক্ষেপ ঘোচালেন আবাহনী লিমিটেডের এই ব্যাটসম্যান। তার ১১১ রানের ঝলমলে ইনিংসেই প্রাইম ব্যাংককে ৪৩ রানে হারায় আবাহনী।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২৮৫ রান করে আবাহনী। জবাব দিতে নেমে ২৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস।
সুপার লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে ২৮৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। ৮১ রানে পতন হয় দ্বিতীয় উইকেটের। তবে মাঝের ওভারগুলোয় খুশদিল শাহর তোপের মুখে পড়ে প্রাইমের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক উইকেট দিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ১৮৪ রানে ৭ উইকেট হারানো দলে পরিণত হয় তারা। তবে শেষদিকে অলক কাপালি (৪০) ও কাশিফ ভাট্টির (২৬) ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা চালায় প্রাইম ব্যাংক। তবে সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান আসে তিনে নামা প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের ব্যাট থেকে। ৫১ রান করেন জাকির হাসান।
পাকিস্তানি স্পিনার খুশদিল ৯ ওভার ৪ বলে ৪৯ রান দিয়ে তুলে নেন প্রাইম ব্যাংকের ৬ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন রিপন মন্ডল, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন ও তানভীর ইসলাম।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও মোহম্মাদ নাইম। তবে ৭৩ রানের মধ্যে এই দুজনের পতনের পর ৯০ রানে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। তবে চতুর্থ উইকেটে ১৪০ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন। ২৩০ রানের মাথায় মোসাদ্দেক (৬৭) ফিরলেও ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ। ১০১ বলের ইনিংস ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজান আফিফ। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান তোলে আবাহনী।