নিউইয়র্ক সিটির প্রায় ৮ লক্ষাধিক কো-অপ ও কন্ডো মালিকের মাথায় আগামী বছর পড়বে বিশাল অংকের বাড়তি অর্থের বোঝা। ‘স্ট্রংগার নিউইয়র্ক’ গড়াসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ২০১৯ সালে পাশ হয় ক্লাইমেট মোবিলাইজেশন এমিশনস ল- যাকে বলা হয় লোকাল ল ৯৭। এই আইনটির বাস্তবায়ন শুরু হবে আগামী বছর থেকে। এই পাশ হওয়া লোকাল ল ৯৭ বাস্তবায়ন করতে গেলে কো-অপ ও কন্ডো মালিকদের বিপুল অর্থ খরচ করতে হবে, নইলে তাদের গুনতে হবে বিশাল পেনাল্টি। কারণ তাদের পুরনো হিটিং সিস্টেম সরিয়ে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক হিটিং সিস্টেম বসাতে হবে।
এদিকে কো-অপ ও কন্ডো মালিকদের পাশে দাঁড়িয়ে একটি বিল উত্থাপন করেছেন স্টেট সিনেটর কেভিন পার্কার ও এসেম্বলিম্যান এড ব্রনস্টাইন। এই বিলে বলা হয়েছে ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য তাদের এপার্টমেন্টের হিটিং সিস্টেম যেভাবে সাযুজ্যপূর্ণ করতে হবে লোকাল ল ৯৭ অনুসারে তাতে তাদের বিপুল অর্থ ব্যয় থেকে রক্ষার জন্য এইসব মালিকদের প্রোপার্টি ট্যাক্স ব্রেক দিতে হবে।
নিউইয়র্ক পোস্ট সোমবার লিখছে, কো-অপ ও কন্ডো মালিকরা ক্লাইমেট চেঞ্জের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষার জন্য বিল পাশ করা হয়েছে প্যানডেমিকের আগে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালেও নতুন ক্লিনার এনার্জি বাস্তবায়নে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। তারা এটাকে নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ‘আনফানডেড ম্যানডেট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
কো-অপ ও কন্ডো মালিকরা তাদের সহায়তার জন্য উত্থাপিত বিল পাশের জন্য নিউইয়র্ক সিটির ৫ বরো থেকে নির্বাচিত সিনেটর ও এসেম্বলি সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠানোসহ লবিং শুরু করতে যাচ্ছে বলে পোস্ট লিখেছে। এছাড়াও কো-অপ ও কন্ডো মালিকরা আগে থেকেই হিসাব করেছে যে আগামী বছর থেকে বাস্তবায়নযোগ্য উক্ত বিলটির শর্তসমূহ অধিকাংশ মালিক তাদের এপার্টমেন্টে বাস্তবায়ন করতে পারবে না। ফলে তাদের সর্বসাকুল্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার পেনাল্টি দিতে হবে।
এদিকে কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডস লোকাল ল ৯৭ এর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে মিডল ও ওয়ার্কিং ক্লাসের কো-অপ ও কন্ডোর মালিকদের জন্য ট্যাক্স রিলিফের আহবান জানিয়ে বলেন, এইসব মিডল ক্লাস এপার্টমেন্ট মালিকদের ওপর চাপ কমানোর জন্য কিছু একটা করা জরুরী। ডনোভান রিচার্ডস বলেন, এ ব্যাপারে তিনি মেয়র এরিক এডামসের সাথে কথা বলেছেন যাতে তার প্রশাসন কো-অপ ও কন্ডো মালিকদের জন্য ট্যাক্স রিলিফের ব্যবস্থা করেন।
এইসব এপার্টমেন্টে গ্রিন হাউজ এমিশন ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তার বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৪ সাল থেকে। ফলে যেসব এপার্টমেন্ট বিল্ডিংএর আয়তন ২৫,০০০ বর্গফুট তাদের পুরনো গ্যাস বা হিটিং অয়েল চালিত হিটিং সিস্টেম ফেলে দিয়ে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিসিটি চালিত সিস্টেম চালু করতে হবে। তবে ২৫,০০০ বর্গফুটের কম আয়তনের এপার্টমেন্ট বিল্ডিংএ আপাতত এই আইন চালু করতে সময় লাগলেও ছোট ও মধ্যম আকারের কো-অপ ও কন্ডোর হিটিং সিস্টেম পাল্টাতে হবে।