শেষ ৬ বলে চাই ৬ রান, হাতে ৬ উইকেট- এমন সহজ সমীকরণেও শেষ বলের নাটকীয়তায় জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম ৫ বলে ৪ রান সংগ্রহের পাশাপাশি একটা উইকেটও হারিয়ে ফেলে তারা। তবে শেষ বলে চার হাঁকিয়ে দলকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন রিংকু সিং। যদিও ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। এই জয়ে এবারের আইপিএলে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে উঠে এলো পার্পেল আর্মিরা।
এর আগে শেষ ৪ ওভারে জয়ের জন্য কলকাতার প্রয়োজন ছিল ৫১ রান। আধুনিক ক্রিকেটের পরিচিত সমীকরণ হলেও খুব যে সহজ এমনটাও না। তবে সহজ করে তুলেছিলেন আন্দ্রে রাসেল, যোগ্য সঙ্গই দিচ্ছিলেন রিংকু সিংহও। চার ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৩ ওভারেই যোগ করেন ৪৫ রান। তব শেষ ওভারে আর্শদীপ থেকে ৬ রান নিতেই তাদের ঘাম ছুটে যায়।
এইদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান তুলেছিল পাঞ্জাব। পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ বলে ৫৭ রান করেন অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। আরেক ওপেমার প্রাভসিমরান আউট হন ১২ রান করে। ভানুকা রাজাপাকশে এসেও ব্যর্থ হয়েছেন, বেশ কয়েক ম্যাচ পর সুযোগ পেয়ে তিনি ফেরেন শূন্য রানে। লিভিংস্টোন করেন ৯ বলে ১৫ রান।
এরপর জিতেশ শর্মাকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেন ধাওয়ান। জিতেশ ১৮ বলে ২১ করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। একপ্রান্ত আগলে রাখা শিখর ধাওয়ান ফেরেন অর্ধশতক তুলেই। তবে শেষ দিকে কিছু বিক্ষিপ্ত ইনিংস; রিশি ধাওয়ানের ১১ বলে ১৯, শাহরুখ খানের ৮ বলে ২১ ও হারপ্রিত ব্রারের ৯ বলে ১৭ রানের ছোট্ট ঝড়ে ১৭৯ রানের পুঁজি পায় পাঞ্জাব।
কলকাতার হয়ে আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। এ ছাড়া ২টি উইকেট পান হার্শিত রানা। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন সুয়াশ শর্মা ও নীতিশ
১৮০ রানের এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কলকাতাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৪.৪ ওভারে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ৩৮ রান উঠেছে ওপেনিং জুটিতে। ১২ বলে ১৫ করে আউট হন গুরবাজ। আরেক ওপেনার জেসন রয়ও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। তিনি আউট হন ২৪ বলে ৩৮ রান করে। ব্যর্থ ছিলেন ভেঙ্কাটেস আইয়ারও; ১৩ বলে ১১ করেন তিনি।
তবে তিন নাম্বারে নেমে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন রানা। তাতে দলও টিকে থাকে লড়াইয়ে। এরপর আন্দ্রে রাসেল ও রিঙ্কু সিং মিলে বাকি কাজটা সারেন। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে রাসেল ২৩ বলে ৪২ রান করে রান আউট হন। ১০ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং।