দীর্ঘ এক যুগ পর বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে রাজশাহী। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর শহীদ এএইএম কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। নিজেদের মাঠে হেসে খেলেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জুনিয়র টাইগাররা। কিন্তু জয়ের স্বাদটা পুরোপুরি উপভোগ করতে পারল না রাজশাহীবাসী। কারণ মাঠে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিসিবি। ফলে দর্শকশুন্য গ্যালারিতেই শেষ হয়েছে আজকের খেলা।
এ দিকে, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় ক্ষুব্ধ রাজশাহীর ক্রিকেটপ্রেমীরা। এই ঘটনায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। এমনকি খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটও আজ দুপুরে এই প্রসঙ্গে ফেসবুক লাইভ করেছেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচটি দেখার সুযোগ দিতে বিসিবির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দাবি করেছেন দর্শক গ্যালারি খুলে দেওয়ার জন্য।
রাজশাহীতে ম্যাচটি দেখার জন্য সকাল থেকে অনেক দর্শক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে স্টেডিয়ামে যান। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্টেডিয়ামের গেট থেকেই ফিরে আসতে হয় তাদের।
খেলা দেখতে আসা রফিকুল ইসলাম, রিমন আলী, মাহফুজুর রহমান, শাহীন আলমসহ অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পর রাজশাহীর মাঠে আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেট ম্যাচ গড়াল। এই ম্যাচকে নিয়ে তারা উচ্ছ্বাসিত ছিলেন। কিন্তু এখানকার ম্যাচগুলো দর্শকবিহীন হবে আগে তা অনুমান করতে পারেননি তারা। আর এমন কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি। আজ সকালে স্টেডিয়ামে এসেই তারা বিষয়টি জানতে পারেন। আর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তারা এতে হতাশ ও সংক্ষুব্ধ হয়েছেন।
স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় ফেসবুকেও সরব হয়ে উঠেছেন ক্রিকেটভক্তরা। বাশির আহমেদ লিখেছেন, ‘সাধারণ দর্শকদের যদি খেলায় দেখতে না দেন তাহলে এত ঘটা করে প্রচারণার করার কি দরকার ছিল।’
এই ঘটনায় ভেন্যু ম্যানেজার আরেফিন ইসলাম জানান, এখানে তার করার কিছুই নেই। এই বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। বিসিবির সিদ্ধান্তে রাজশাহীর ভেন্যুতে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন দর্শক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।