ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্যাঁচে এশিয়া কাপ। সব কিছু ঠিক থাকলেও শুধুই ভেন্যু নিয়ে শঙ্কার মুখে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ ক্রিকেট আসর। যদিও এ শঙ্কার সমাধান হয়ে দেখা দিয়েছিল ‘হাইব্রিড’ মডেল। তবে এ মডেলের বিরোধিতা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট (এসএলসি)। ফলে এখনো ঘোর সংশয়ে বাধা এশিয়া কাপ।
বৃহস্পতিবার ভারতের স্পোর্টস তাককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রস্তাবিত ‘হাইব্রিড’ মডেলে রাজি আছেন বলে জানান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।
তবে এখানে একটি শর্তও জুড়ে দেন তিনি। বলেন, ‘এশিয়া কাপ হাইব্রিড মডেলে হলে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও একই মডেল কার্যকর হতে হবে। আমাদের বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো তখন আমরা বাংলাদেশ বা অন্য দেশে খেলব।’
তবে পাকিস্তান রাজি হলেও বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা যে রাজি নয়, তা স্পষ্টই উল্লেখ করেন পিসিবি সভাপতি। তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের গরম ও বিশ্বকাপের আগে এত ভ্রমণ আধিক্যের কারণে হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপে ঘোর আপত্তি আছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার। আবার ভারতও কোনোভাবে রাজি নয় পাকিস্তানে যেতে।
এশিয়া কাপের ভাগ্য নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন পিসিবি সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ দল নিয়ে তো আর এশিয়া কাপ হবে না। কারণ, আসরে মূল আয়ই তো আসে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। আর বাংলাদেশের নাজমুল সাহেব (বিসিবি সভাপতি) পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে পাকিস্তান ছাড়া এশিয়া কাপ হবে না। অর্থাৎ পাকিস্তান না খেললেও এশিয়া কাপ হবে, এ ভাবনা পুরোপুরি বাদ।’
এখন আসরটি পুরোপুরি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার হাতে বলে জানিয়ে পিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) একজনের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি হাইব্রিড মডেল নিয়ে জয় শাহর সাথে আলোচনা করে জানান যে জয় শাহ এই মডেলে কোনো সমস্যা দেখছেন না। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সাথে অনুমোদন প্রয়োজন বলে জানান তিনি।’
এ সময় হাইব্রিড মডেলটা কেমন হবে তাও উল্লেখ করেন নাজাম শেঠি। বলেন, ‘ভারত ছাড়া বাকি চারটি দেশ পাকিস্তানে যাবে। এখানে প্রতিটি দল একটি করে ম্যাচ খেলার পর চলে যাবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ভারতের ম্যাচসহ টুর্নামেন্টের বাকি অংশ ওই ভেন্যুতেই হবে।’