চলতি বছর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে প্রতিটি দল এখনই পরিকল্পনা শুরু করেছে। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। ইতোমধ্যে টাইগাররা বিশ্বকাপ সুপার লিগে নিজেদের শেষ সিরিজও খেলছে। যেখানে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেন তামিম-লিটনরা। বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।
বিশ্বকাপ সুপার লিগে বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২৪ ম্যাচে ১৫ জয়ে ১৫৫ পয়েন্ট দলটির। শীর্ষে নিউজিল্যান্ড ও দ্বিতীয়স্থানে ইংল্যান্ড।
এদিকে সদ্য আইরিশ সিরিজ খেলে এখন ছুটিতে রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের পরের সিরিজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তার আগেই অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের একাদশের কেমন হতে পার তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন।
সংবাদমাধ্যমকে পাপন জানান, বিশ্বকাপ একাদশে তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়ের জায়গা পাকা। তবে ৭ নম্বর ব্যাটিং অর্ডারের বিবেচনায় রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলী রাব্বি ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
গণমাধ্যমকে পাপন বলেন, ‘অলরাউন্ডার চাইলে আফিফ আছে, মোসাদ্দেক আছে ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আছে। সেও বল করে দিতে পারব। রিয়াদ ভালো বল করে, আমি দেখেছি, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ও ভালো। পার্থক্যটা হচ্ছে শুধু ফিল্ডিংয়ে। ভালো ফিল্ডিং চাইলে এই তিনজনের মধ্যে আফিফ সবার উপরে। মোসাদ্দেকও রিয়াদের চেয়ে ভালো হতে পারে।’
ফিল্ডিংয়ের বেলায় আফিফ-মোসাদ্দেককে এগিয়ে থাকলেও অভিজ্ঞতায় এগিয়ে রিয়াদ। এ সম্পর্কে পাপন বলেন, ‘অভিজ্ঞতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা যাদের সঙ্গে খেলছি আর বিশ্বকাপে যাদের সঙ্গে খেলব, দুটোর পরিস্থিতি কিন্তু এক না। তাই ব্যাপারটা (খেলোয়াড় বাছাই) কঠিন।’
৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টের ১৩তম সংস্করণটি আগামী অক্টোবরে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যা ৫ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৯ নভেম্বর শেষ হতে পারে।
বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) অন্তত ১২টি স্টেডিয়ামের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে। যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৪৬ দিনের এই টুর্নামেন্টে। এছাড়া ভেন্যু হিসেবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামসহ ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধর্মশালা, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, লক্ষ্মৌ, ইন্দোর, রাজকোট ও মুম্বাই রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। যদিও ফাইনাল ছাড়া আর কোনো ম্যাচের ভেন্যু এখনো চূড়ান্ত হয়নি।