আরো একবার রক্তহিম করা একটা মুহূর্ত উপহার দিলেন রিঙ্কু সিং। অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টায় আরো একবার জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। তবে এবার আর শেষ হাসি হাসতে পারেননি। পারেননি দলকে জেতাতে। ফলে প্ল অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে কলকাতা। বিপরীতে শ্বাসরুদ্ধকর থ্রিলার শেষে ১ রানের জয় তুলে নেয় লখনৌ, তৃতীয় দল হিসেবে নিশ্চিত করে প্লে অফ।
শনিবার ১৮ ওভারে ১৩৬ রানেই কলকাতার ৭ উইকেট তুলে নিয়ে সহজ জয়ের স্বপ্নই দেখছিল লখনৌ। কেননা ১৭৬ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে হলে শেষ ২ ওভারে নাইটদের প্রয়োজন তখন ৪০ রান। হাতে ৩ উইকেট, স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কেবল রিংকু সিং। তবে এই রিংকু একাই কাঁপিয়ে দিলেন লখনৌকে, কলকাতাকে পৌঁছে দিলেন জয়ের খুব কাছে। যদিও জয়টা পাওয়া হয়নি।
নাভিন উল হকের ১৯তম ওভারে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ২০ রান আনার পর শেষ ওভারে সমীকরণ আরো ২০ রানের। প্রথম তিন বলে দুই ওয়াইডসহ ৩ রান আসে। শেষ তিন বলে চাই তাই ১৭ রান। তবে যশ ঠাকুরের শেষ ৩ বলে ২ ছক্কা আর ১ চার হাঁকিয়ে ১৬ রান আনতে পারেন রিঙ্কু। ফলে ১ রানের আক্ষেপ নিয়েই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় কলকাতাকে।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে নিকোলাস পুরানের ব্যাটে ভর করে। ৮ উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে লখনৌ। ১০.১ ওভারে মাত্র ৭৩ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটাকে টেনে তুলেন পুরান। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৩০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবীয়। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে। যদিও বল খেলেছিলেন তিনি ২৭টি।
তাছাড়া প্রেরক মানকাড ২০ বলে ২৬ ও আয়ুশ বাধনি করেন ২১ বলে ২৫ রান। বাকিদের মাঝে দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছিলেন কেবল কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। ৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া করেন ৮ বলে ৯ রান। তবে শেষ ৪ ওভারে ৫৩ রান তুলে দলকে ১৭৫ পর্যন্ত পৌঁছান পুরান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের লক্ষ্যেই ছুটতে থাকে কলকাতা। জেসন রয় ও ভেঙ্কাটেশ আইয়ার মিলে ৫.৫ ওভারে যোগ করেন ৬১ রান। ভেঙ্কাটেশ ফেরেন ১৫ বলে ২৪ রান করে। এরপর আর দাঁড়াতে পারেনি কলকাতা, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। নবম ওভারে অধিনায়ক নিতিশ রানা ফেরার পর ১০ম ওভারে ফেরেন জেসন রয়ও।
রানা জ্বলে উঠতে পারেননি, ১০ বলে ৮ আসে তার ব্যাটে। তবে ২৮ বলে ৪৫ রান করেন জেসন রয়। এই দুজন ফেরার পর দলের হাল ধরতে পারেননি কেউই, গুরবাজ ১৫ বলে ১০, আন্দ্রে রাসেল ৯ বলে ৭, শার্দুল ৭ বলে ৩ ও নারিন আউট হন ১ রান করে৷ ১৮ ওভারে ১৩৬ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে কলকাতা। তবে এরপরই ইডেন গার্ডেন কাঁপিয়ে তোলেন রিংকু।