করোনা মহামারির পর নিউইয়র্কে ভয়াবহ মাত্রায় বেড়ে গেছে সহিংসতা। আর তা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের হিসাবেই দেখা গেছে, ২০১৮ সালের তুলনায় অপরাধ বেড়েছে ৩৪ ভাগ।
পুলিশের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর সাতটি প্রধান অপরাধের পাঁচটি দমনের ক্ষেত্রে সফলতা এলেও অপরাধ করার সময় আঘাত করা এবং গাড়ি চুরির হিড়িক পড়ায় তা ম্লান হয়ে পড়েছে। এই দুটি অপরাধ গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ৭.৭ ভাগ বেড়ে ৯,৯৭৭টি এবং ১৬.৩ ভাগ বেড়ে ৫,৭২৩টি হয়েছে।
নিউইয়র্ক পুলিশ অবশ্য খুন হ্রাস করতে পেরেছে। আগের বছর যেখানে খুন হয়েছিল ১৬৮টি, সেখানে এবার হয়েছে ১৪৬টি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়র এরিক অ্যাডামস বন্দুকবাজি দমানোর দিকে নজরদারি করায় এই সাফল্য এসেছে। করোনার সময় বন্দুকবাজি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল।
আবার ছিঁচকে চুরি, ডাকাতি, বড় ধরনের চুরি ও ধর্ষণের মতো অপরাধগুলো কিছুটা কমেছে। এর ফলে ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত সার্বিকভাবে উন্নতি হয়েছে ১ ভাগ।
তবে প্রাক-কোভিড সময়ের সাথে তুলনা করলে প্রতিটি মারাত্মক অপরাধের ক্ষেত্রে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ২০১৮ সালের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে, অপরাধ বেড়েছে ৩৪.১ ভাগ।
পাঁচ বছর আগের তুলনায় খুন বেড়েছে ৩০ ভাগ। ডাকাতি বেড়েছে এক চতুর্থাংশ, খুন বা খুনের চেষ্টা বেড়েছে ৩৫ ভাগ, গাড়ি চুরি বেড়েছে ২১৭ ভাগ।
সিটির কর্মকর্তারা বলছেন, টিকটকের ভিডিওর সাহায্য নিয়ে তরুণরা ¯্রফে একটি ইউএসবি ক্যাবল ব্যবহার করে কিয়া ও হুন্ডাইয়ের মতো গাড়ি চুরির বিদ্যা রপ্ত করায় গাড়ি চুরি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকার জন্যও অপরাধ বাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এক পুলিশ সদস্য সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যত পুলিশ কর্মকর্তা অবসরে যাচ্ছেন, তার চেয়ে কম পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে পুলিশ সদস্যরা কাজের চাপ সামলাতে পারছে না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে যেখানে পুলিশ সদস্য ছিল ৩৬ হাজার, বর্তমানে আছে সেখানে ৩৪ হাজারের কম। এদিকে পুলিশবিরোধী প্রচারণা ও স্বল্প বেতনের কারণে অনেক পুলিশ সদস্য চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে।