বঙ্গোপসাগরে ফের একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় আবহাওয়া সংস্থা। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্য নেই।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান আমাদের সময় অনলাইনকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কোনো তথ্য আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তাপপ্রবাহে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, নীলফামারী, সিলেট, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মাইজদিকোর্ট, ফেনী ও বান্দরবান অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বৃদ্ধি পেতে পারে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ইউরোপীয় আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের লক্ষ্য হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশা উপকূল। তবে ঘূর্ণিঝড়টি কবে ভূভাগে প্রবেশ করবে সেই পূর্বাভাসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে সর্বোচ্চ গতি গতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, আগামী ৩ জুন মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের কাছে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৮ জুন সেটি পৌঁছাবে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নিয়ে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমার কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এখনই কিছু বলা মুশকিল। কারণ ওই একই সময় আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। কোন ঝড়টি আগে তৈরি হচ্ছে, তার ওপর তাদের শক্তি ও গতিপথ নির্ভর করছে।’