মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে বড় বাজেট বা বাড়তি ব্যয় না করার জন্য মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করে দলীয় কর্মসূচি পালনের জন্য বলেছেন তিনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আগামী এক বছরকে মুজিববর্ষ হিসেবে পালন করবে সরকার। মুজিববর্ষের কর্মসূচি নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, আমরা প্রিসাইসলি (ব্যাখ্যা) বলে দিয়েছি, এই উপলক্ষে প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তার একটা নোটেবল প্রোগ্রামকে মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা করবে, তার নরমাল বাজেট থেকে। যদি ভিন্ন কোনো কাজ থাকে তার জন্য অতিরিক্ত টাকা চিন্তা করা যেতে পারে; কিন্তু বড় বড় বাজেট দিয়ে নতুন কাজ করার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে এসেছে, অর্থ বিভাগ মুজিববর্ষ ঘোষণার সাথে সাথে প্রোগ্রাম নিল- ডিসেম্বরের মধ্যে ছয় লাখ পেনশনারের বাড়িতে পেনশন দেবে। এ প্রোগ্রাম তারা মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ রকম ভালো কোনো প্রোগ্রামকে মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা যাবে।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো কোনো প্রোগ্রাম করতে গিয়ে যদি ফান্ড লাগে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্পী আনবেন, এটার জন্য পেমেন্ট করতে হবে। স্টেজ হবে, এ জন্য আলাদা টাকা দেয়া হবে না। পিডব্লিউডি তার মেইনটেনেন্স বাজেট থেকে করে দেবে। পেমেন্টের দরকার হলে এএফডি (সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ) তার বাজেট থেকে করে দেবে, এ জন্য আলাদা কোনো টাকা দেয়া হবে না।’
সচিব বলেন, সবাইকে কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করে প্রোগ্রাম নিতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘খালি বাজেট নয়, সবার নতুন নতুন কিছু করার দরকার নেই। আমার যে প্রোগ্রাম আছে মানুষের কল্যাণে বা দেশের উন্নয়নে কনট্রিবিউট করতে পারি ওটা মুজিববর্ষের সাথে মোর সিনোনিমাস। ওই জাতীয় প্রোগ্রাম, নরমাল যে প্রোগ্রামটা আছে সেটিকে আরো ইফেকটিভ করেন। অনেকে বুঝতে পারেন না, মনে করেছেন নতুন প্রোগ্রাম নিতে হবে।’