নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার ডেরায় যেতেন এমন ৩০ জনের নাম এসেছে তদন্তে। জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া তাদের নাম বলেছে।
ওয়েস্টিন হোটেল কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা সিসি টিভি ফুটেজ, পাপিয়ার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গোপন ভিডিও থেকে তাদের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। তালিকায় নাম আসা ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত একটি তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাপিয়ার আস্তানায় নিয়মিত যেতেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আছেন তালিকায়। ১০ জন সংসদ সদস্যও তালিকায় আছেন।
সূত্র জানায়, পাপিয়ার ডেরায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল অন্তত ২১ জনের। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এই ব্যক্তিত্বদের বাইরে গত এক মাসের ভিডিও ফুটেজে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের আরো ৫ জনকে কয়েক দফা ঐ আস্তানায় যেতে দেখা গেছে।
ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫ জন সচিব, ১০ জন সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক দুই নেতা, দুই জন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী পাপিয়ার আস্তানায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন।
এছাড়া তালিকায় আছেন ছাত্রলীগ সাবেক এক সভাপতি এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক এক শীর্ষ নেতা। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতা পদ হারিয়েছেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি গোপনে দেশত্যাগের সময় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়াকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার অন্য তিনজন হলেন- পাপিয়ার স্বামী ও তার অবৈধ আয়ের হিসাবরক্ষক মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন, পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শেখ তায়্যিবা ও সাব্বির খন্দকার। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা।
তবে এর আড়ালে জাল মুদ্রা সরবরাহ, বিদেশে অর্থপাচার এবং অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাপিয়া গ্রেফতার হওয়ার পরই বেরিয়ে আসতে শুরু করে তার অন্ধকার জগতের চাঞ্চল্যকর সব কাহিনী।