বরখাস্ত হওয়া হোয়াইট স্টারবাকের ম্যানেজার শ্যানন ফিলিপস ২৫ মিলিয়ন ডলারের মামলায় জয়ী হয়েছেন। ২০১৮ সালে ফিলাডেলফিয়ার একটি স্টোর বাথরুমে দুই কৃষ্ণাঙ্গকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণগত বিক্ষোভের মুখে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে তিনি আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে তাকে বর্ণগত কারণেই বরখাস্ত করা হয়েছিল।
রিজিউনাল ম্যানেজার ফিলিপস নিউজার্সি ও পেনসিলভানিয়ায় বেশ কয়েকটি স্টারবাক আউটলেট তদারকির দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি আদালতে যুক্তি দেন যে ওই দুই কৃষ্ণাঙ্গের গ্রেফতারের ব্যাপারে তার কিছুই করণীয় ছিল না। দেশজুড়ে ফুঁড়ে ওঠা বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় তাকে বরং স্টারবাক ম্যানেজমেন্ট ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়ে বরখাস্ত করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল রিটেনহাউজ স্কয়ারের স্টারবাকের এক কর্মী পেয়িং কাস্টমার না হওয়ার কারণে রোশন নেলসন ও ডনটে রবিনসনকে বাথরুমে প্রবেশ করতে দেয়নি। তারা এর প্রতিবাদে সেখানে অবস্থান করতে থাকলে ওই কর্মী ৯১১-এ ফোন করে পুলিশ ডাকে। পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে। এর জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
তবে গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তারা তাদের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী পার্টনারের জন্য একটি টেবিলে অপেক্ষা করছিলেন। ওই সময় তাদেরকে অনধিকার প্রবেশের জন্য গ্রেফতার করা হয়।
এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে ফিলি স্টোর ও সেখানকার আরো স্টোর বয়কটের ডাক দেওয়া হয়।
এই প্রেক্ষাপটে স্টারবাক ঘোষণা করে যে তারা তাদের কর্মীদের পক্ষপাতবিরোধী প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য আট হাজারটি আউটলেট বন্ধ করে দিচ্ছে।
তবে ফিলিপসের বরখাস্তের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়। কারণ ফিলি স্টোরের ম্যানেজার ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। তিনি আদালতে জানান যে তার চাকরি রক্ষা পেয়েছিল।
ফিলিপসের আইনজীবী লরা ম্যাটিচি জানান, কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণে স্টোর ম্যানেজারের চাকরি যায়নি।
আর স্টারকবাক তাদের যুক্তিতে জানায়, ১৩ বছর ধরে তাদের কোম্পানিতে চাকরিরত ফিলিপস ঘটনার সময় নিস্ক্রিয় ছিলেন এবং ওই গ্রেফতারের পর অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার রায়ের পর কোম্পানি কোনো মন্তব্য করেনি।
রায়ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফিলিপসকে ২৫.৬ মিলিয়ন ডলার প্রদান করার কথা ঘোষণা করা হয়।