প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩৯৩ রানের জবাবে ৩৮৬ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামা ইংল্যান্ড অলআউট হয় ২৭৩ রানে। ফলে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ২৮১ রান।
এমন পরিস্থিতি হয়েছিল ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে। সেবার প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৪০৭ রানের জবাবে ৩০৮ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়অ। ৯৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ১৮২ রানে। ফলে অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রানের। চতুর্থ ইনিংসে সেবার ২৭৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড জয় দেখে ২ রানের।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান জো রুট এবং ওলি পোপ এদিন সকালে খেলছিলেন দারুণভাবে। দলীয় ৭৭ রানের মাথায় পোপ (১৪) ফিরলে ভাঙে অর্ধশত রানের জুটি। তাকে ফেরান অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। চতুর্থ উইকেটে হ্যারি ব্রুককে নিয়ে ৫২ রানের জুটি গড়েন রুট। ১২৯ রানের মাথায় হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থাকতে ফেরেন রুট। নাথান লায়নের বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে স্টাম্পড হন তিনি।
১৫০ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে লায়নের স্পিনেই ফেরেন ব্রুক। রুটের সমান ৪৬ রান করে আউট হন তিনিও। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টো। ১৯৬ রানের মাথায় লায়নের বলেই এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন বেয়ারস্টো।
এরপর ধারাবাহিকভাবে ইংলিশ উইকেটের পতন হয়। বেন স্টোকস ৪৩ রান করে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। ১৯ রান করেন মঈন আলী। শেষদিকে ওলি রবিনসন ২৭ রান করলে ২৭৩ রানের পুঁজি পায় ইংলিশরা।