শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি আফগানিস্তানের, ৫২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বেশ ভালোভাবেই। যদিও শেষ পর্যন্ত নাবি-ওমরজাইয়ের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা। এমনকি ছোট পুঁজি নিয়েও বল হাতে জয়ের পথেই হাঁটছিল আফগানরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা। যার জন্য রশিদ খান দুষলেন ভেজা মাঠকে।
মোহাম্মদ নাবি আর ওমরজাইয়ের ব্যাটে ভর করে ১৫৪ রানে মানসম্মত সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। তবে এই রানেও তারা চেপে ধরেছিল বাংলাদেশকে। তবে দলের রান যখন ৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৪১, তখন বৃষ্টি হানা দেয়। মিনিট ১৫ বন্ধ থাকে খেলা। রশিদ খানের দাবি, এখানেই হেরে গেছেন তারা। বৃষ্টির জন্য বল হাতে পাননি সুবিধা।
যদিও ১০.১ ওভারে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। সাকিব ফিরে গেলে দলের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ৬৪ রান। এমতাবস্থায় মনে হচ্ছিল এই রানই হয়ত আফগানদের জয়ের জন্য যথেষ্ট। তখনো যে ৫৯ বলে ৯১ রান প্রয়োজন ছিল।
সেখান থেকেই ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে স্বাগতিকরা। পঞ্চম উইকেটে ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে দেন তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন। ওমরজাইয়ের এক ওভারে ২১ আর ফারুকির এক ওভারে ১৬ রান নিয়ে ম্যাচটা নিয়ে আসেন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে। অতঃপর বাংলাদেশ জিতেও যায় ২ উইকেটে।
তবে এর পেছনে সেই বৃষ্টির হাত দেখছেন রশিদ খান। ম্যাচ শেষে আফগান অধিনায়ক বলে গেলেন, এমনটাই। বললেন, ‘সত্যি বলতে মাঠ অনেক ভেজা ছিল। আমাদের শক্তি-সামর্থ্য ৫০ শতাংশ কমে গেছে এই কারণে। তবুও আমরা ভালো বোলিং করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের দলের প্রচেষ্টা ছিল দারুণ।’
তবে রশিদের আক্ষেপের জায়গা দলের ব্যাটিং। ব্যাটসম্যানদের থেকে আরো দায়িত্বশীলতা প্রত্যাশা করেন তিনি। বলেন, ‘টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আরেকটু সাবধানী হলে আমরা আরো ২০-২৫ রান বেশি পেতে পারতাম।’
‘তবে আমাদের যেমন বোলিং আক্রমণ, তাতে এই রান জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। যদিও টি-টোয়েন্টিতে একটি ইনিংসই ম্যাচ বের করে নিয়ে যেতে পারে।’