শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন

‘আমি ধর্ষণ-অপহরণের শিকার হইনি, মুশতাককে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছি’

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩
  • ৪৩ বার
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির সেই ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত রোববার ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। জবানবন্দি শেষে ওই ছাত্রী আদালতের মাধ্যমে নিজ জিম্মায় স্বামী মুশতাক আহমেদের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন।

আদালতের জবানবন্দিতে ওই ছাত্রী জানান, তাকে অপহরণ ও ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ঠাকুরগাঁও থানার তদন্ত কর্মকর্তা ওই ছাত্রীর মেডিকেল ও ডিএনএ রিপোর্ট করাতে চাইলে সিনথিয়া তাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ধর্ষণ বা অপহরণের শিকার হইনি। তাই এসব রিপোর্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।’

জবানবন্দিতে সিনথিয়া আরও বলেন, ‘আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও সাবালিকা। নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আমার আছে। আমি মুশতাককে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছি। তিনি কোনো জোরজবরদস্তি করেননি। আমার বাবা যে মামলা করেছেন, তা আমার স্বামীকে হয়রানি করার জন্যই করেছেন।’

পরে আদালত তাকে নিজ জিম্মায় যেতে  আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী তিনি নিজ জিম্মায় গিয়ে আদালত কিংবা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তলবে নির্দেশিত স্থানে হাজির/উপস্থিত হতে বাধ্য থাকবেন।

প্রসঙ্গত, আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ২২ জুন ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা সাইফুল ইসলাম। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও আদালতে যান।

এ বিষয়ে মুশতাকের আইনজীবী মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘অপহরণের ঘটনায় সিনথিয়ার বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে খন্দকার মুশতাকের বিরুদ্ধে গত ২২ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঠাকুরগাঁও সদর থানাকে নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় ভিকটিম নিজে আদালতে এসে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর ছাত্রী নিজ ইচ্ছায় তার স্বামী মুশতাকে সঙ্গে ঢাকায় চলে যান।’

তিনি আরও বলেন, সিনথিয়ার বয়স ১৬ উল্লেখ করে তার বাবা মামলা করেন। কিন্তু আদালত সিনথিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখেন যে  তার বয়স ১৮ বছর চার মাস। অর্থাৎ তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আছে।

চলতি বছরের ২৫ মার্চ তারা বিয়ে করেন। তবে এই ঘটনা জানাজানি হয় জুনের শুরুতে। এর আগে ওই সদস্যের বিরুদ্ধে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে তদন্তের আগেই বিয়ের ঘোষণা দেন দুজন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com