সাকিবময় এক রাত উপভোগ করলো ক্রিকেট বিশ্ব। কানাডার গ্লোবাল লিগ মাতালেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে আলো ছড়ান তিনি, অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেন সমর্থকদের। দলের জয়ে রাখেন বড় ভূমিকা।
উদ্বোধনী দিনে সাকিবের দল মন্ট্রিয়েল টাইগার্সে মুখোমুখি হয় সারে জাগুয়ার্সের। যেই দলের হয়ে খেলছে আরেক বাংলাদেশী লিটন দাস। তবে ব্যাট হাতে ম্লান থাকেন এই ব্যাটার। বিপরীতে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ দিয়ে ৩ উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতে ১৩ বলে ২৬ রান করেন সাকিব।
সাকিবের বলেই এই দিন ফেরেন লিটন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সাকিবের বলে আব্বাস আফ্রিদিকে ক্যাচ দেন তিনি। আউট হবার আগে ১ ছক্কায় ১১ বলে ৯ রান করেন লিটন। এরপর সাকিব ১১তম ওভারে এসে ফেরান প্রগত সিংকে। আর নিজের শেষ ওভার করতে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন ম্যাথু ফ্রডেকে।
সাকিবের ৩ উইকেট শিকারে ভেঙে যায় জাগুয়ার্সের কোমর। এরপর আর দাঁড়াতে পারেনি তারা। একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকা ইফতেখার আহমেদের ৪৪ বলে অপরাজিত ৪০ রানে মান বাঁচায় তারা। জাগুয়ার্স পায় ৬ উইকেটে ১৩৬ রানের সংগ্রহ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভারে ২৫ রান তুলতেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগার্সের। এরপর ওয়ানডাউনে নামেন সাকিব। নেমেই ঝড় তুলেন ব্যাট হাতে। যদিও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি, ৪ চার আর ১ ছক্কার ইনিংস থামে ১৩ বলে ২৬ করেই। তবে তার ব্যাটে ভর করেই পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তুলে মন্ট্রিয়াল।
এরপর দ্রুত আরো দুই উইকেট হারালেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি। ৯ বল আর ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় মন্ট্রিয়াল টাইগার্স। তবে এমন দারুণ পারফরম্যান্সের পরও কোনো এক অজানা কারণে ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি জুটেনি সাকিবের। ৩১ বলে ২৮ রান করে দিলপ্রীত জেতেন এই পুরস্কার।