শ্রীলঙ্কাকে তাদের নিজেদের মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এক ইনিংস ও ২২২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ফলে ভারতকে টপকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান আরো মজবুত করল রিজওয়ান-বাবরদের দল। ১০০ শতাংশ সাফল্যের হার বজায় রাখায় শীর্ষস্থান মজবুত করল দলটি।
শ্রীলঙ্কা সফরের দুই টেস্টের সিরিজ থেকে সর্বাধিক ২৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ফলে পয়েন্ট বিবেচনায় ভারত ও ইংল্যান্ডকে টপকে যায় তারা। যদিও সংগৃহীত পয়েন্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পিছিয়ে রয়েছেন বাবররা। তা সত্ত্বেও তারা লিগ টেবিলের ওপরে অবস্থান করছেন।
পয়েন্টে পিছিয়ে থেকেও লিগ টেবিলের ওপরে অবস্থানের মানে হচ্ছে- আসলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের স্ট্যান্ডিং তথা ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হয় পয়েন্টের নিরিখে নয়, সংগৃহীত পয়েন্টের শতকরা হারে। পয়েন্টের নিরিখে ক্রমতালিকা তৈরি হলে ৪ টেস্টে ২৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করা অস্ট্রেলিয়া থাকত সবার আগে। ২ টেস্টে ২৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করা পাকিস্তানের জায়গা হতো দ্বিতীয় স্থানে। তবে শতকরা হারে অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে রয়েছে অনেকটাই। তাই ১০০ শতাংশ হারে পয়েন্ট তোলা পাকিস্তান লিগ টেবিলের এক নম্বর স্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, পোর্ট অফ স্পেনে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হওয়ার পরেই টিম ইন্ডিয়াকে টপকে লিগ টেবিলের এক নম্বরে উঠে আসে পাকিস্থান। ভারত আপাতত দ্বিতীয় স্থানেই অবস্থান করছে। লিগ টেবিলের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শ্রীলঙ্কা ২টি টেস্ট খেলে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি। তারা রয়েছে আপাতত লিগ টেবিলের ছয় নম্বরে।
৬টি দেশ নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ তালিকায় নিজেদের অভিযান শুরু করেছে। নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে কোনো সিরিজ খেলেনি। তাই তাদের নাম এখনো ক্রমতালিকায় যুক্ত হয়নি।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-২৫-এর আপডেটেড পয়েন্ট টেবিল-
১) পাকিস্তান: ম্যাচ-২, জয়-২, হার-০, ড্র-০, পয়েন্ট-২৪, পয়েন্টের শতকরা হার- ১০০।
২) ভারত: ম্যাচ-২, জয়-১, হার-০, ড্র-১, পয়েন্ট-১৬, পয়েন্টের শতকরা হার- ৬৬.৬৭।
৩) অস্ট্রেলিয়া: ম্যাচ-৪, জয়-২, হার-১, ড্র-১, পয়েন্ট-২৬, পয়েন্টের শতকরা হার- ৫৪.১৭।
৪) ইংল্যান্ড: ম্যাচ-৪, জয়-১, হার-২, ড্র-১, পয়েন্ট-১৪, পয়েন্টের শতকরা হার- ২৯.১৭।
৫) ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ম্যাচ-২, জয়-০, হার-১, ড্র-১, পয়েন্ট-৪, পয়েন্টের শতকরা হার- ১৬.৬৭।
৬) শ্রীলঙ্কা: ম্যাচ-২, জয়-০, হার-২, ড্র-০, পয়েন্ট-০, পয়েন্টের শতকরা হার- ০।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য ১২ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করা যায়। টেস্ট ড্র হলে উভয় দলের পকেটে ঢোকে ৪ পয়েন্ট করে। টেস্ট টাই হলে উভয় দল পায় ৬ পয়েন্ট করে। ম্যাচ হারলে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করা যায় না। স্লো ওভার-রেটের দায়ে পয়েন্ট কেটে নেয়ার শাস্তিবিধানও রয়েছে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে।