রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘর্ষে পুলিশের ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। একইসাথে আটক করা হয়েছে বিএনপির ৯০ নেতাকর্মীকে ।
শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো: ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি দাবি করেন, রাজধানীর প্রবেশমুখে ডিএমপির অনুমতি না নিয়ে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি থেকে দলটির নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা, বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়।
বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান ও সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ডিএমপির আরো দাবি, শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজধানীর প্রবেশপথ গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর, ধোলাইখাল, উত্তরা ও মাতুয়াইলে লাঠিসোঁটা হাতে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে অবস্থান নেন দলটির নেতাকর্মীরা। যান চলাচল সচল ও জনদুর্ভোগ লাঘব করতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও পুলিশের ব্যবহৃত যানবাহনে হামলা চালায়। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। অনেক জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় অবৈধ সমাবেশ থেকে ৯০ জনকে আটক করা হয়।
শনিবার (২৯ জুলাই) বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন রাজধানীর ঢাকার সব প্রবেশ মুখে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।