বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত: ফরহাদ মজহার চলতি মাসে হতে পারে ঘূর্ণিঝড়, রয়েছে বন্যার শঙ্কাও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে যা জানালেন ড. ইউনূস খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, ১৪৪ ধারা জারি জুলাই-আগস্টে ঋণ গ্রহণের চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ অশ্লীলতা না থাকলে ,আইটেম গানে নাচবেন অনন্যা ২০ হাজার বাংলাদেশীর পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ভারত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত : র‌্যাবকে সরিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ চট্টগ্রাম বন্দরের তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন, নিখোঁজ ৩ প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির সামনে ৩৫ প্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ

১ ওভারে ৭ ছক্কা, ৪৮ রান!

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩
  • ৫২ বার
ছবি : সংগৃহীত

কাবুল প্রিমিয়ার লিগে এটা কী হলো? এক ওভারে ব্যাটার হাঁকালেন মোট সাতটা ছক্কা। মাত্র দুরানের জন্য ৫০ করতে পারলেন না ব্যাটার। এক ওভারে ৪৮ রান নিলেন সিদ্দিকুল্লাহ অটল। ম্যাচের ১৮তম ওভারে তখন বড় রানের জন্য লড়াই করছিল শাহিন হান্টাররা। ওই সময়ে বল করতে আসেন আমির জাজাই। ১৯তম ওভারের পরে ২০০ রান টপকে গিয়েছিল শাহিন হান্টার। আর হবে নাই বা কেন, এই ওভারে সিদ্দিকুল্লাহ যে ৪৮ রান করে ফেলেছিলেন।

এই ওভারের প্রথম বলটি নো করে বসেন আমির। তবে সেই নো বলেই ছক্কা হাঁকান ব্যাটার। তবে এটা তো সবে শুরু ছিল। এরপরের ফ্রি হিটে বড় ওয়াইড করে বলেন আমির। যা উইকেটরক্ষকও ধরতে পারেননি। ফলে এটি থেকে পাঁচটি রান পেয়ে যায় শাহিন হান্টার। তখনো ওভারের ছয়টি বল বাকি রয়েছে। আর ছয়টি বলে ছয়টি ছক্কা হাঁকান সিদ্দিকুল্লাহ।

কাবুল প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটি একটি অনন্য নজির। এর আগে কখনো এমনটা কেউ করেছে কিনা তা কারোর জানা নেই। তবে শুধু কাবুল প্রিমিয়ার লিগ কেন, অন্য কোনো ক্রিকেটের মঞ্চে এমনটা হয়েছে কিনা তা ইতিহাসের বই দেখে বলতে হবে।

এদিন এক ওভারে ৪৮ রান দেয়ার পরে হতাশায় ডুবে যান আবাসিন ডিফেন্ডারের বোলার জাজি। কারণ তার এই ওভার থেকেই যে ম্যাচের রঙ বদলে যায়। স্কোর বোর্ডে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান তোলে শাহিন হান্টার। প্রায় ১০.৬৫ স্ট্রাইক রেটে রান তোলে হান্টাররা। এর জবাবে ১২১ রানেই গুটিয়ে যায় আবাসিন ডিফেন্ডার। ফলে ৯২ রানে ম্য়াচ হারতে হয় তাদের।

তবে ম্যাচের ছবিটা প্রথম থেকে এমনটা ছিল না। এদিনের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আবাসিন ডিফেন্ডার। ৫ ওভারে মাত্র ২৯ রানের মধ্যেই তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল আবাসিন। এরপরেই ঝড় উঠতে শুরু করে। সিদ্দিকুল্লাহ ও মহম্মদ ইশাক ইনিংসের হাল ধরেন। ইশাক ৩১ বলে ৫০ রান করেন। ইশাক আউট হয়ে যাওয়ার পরে এক দিক থেকে ইনিংসের হাল ধরে রাখেন সিদ্দিকুল্লাহ। ৫৬ বলে অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে ম্যাচের ১৮ ওভার পর্যন্ত সবকিছুই আবাসিনদের হাতের মধ্যেই ছিল। তখনও শাহিন হান্টাররা ১৫৮/৬ রান তুলেছিল। সকলেই আশা করেছিল যে হান্টাররা হয়তো ১৭৫ বা ১৮০ রান করতে পারবে। কিন্তু সেখান থেকে রান বেড়ে যায় ২১৩/৬।

এরপরে ২১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ১২১ রানেই শেষ হয়ে যায় আবাসিনদের ইনিংস। ফারমানউল্লাহের ৩১ বলে ৪২ রান ও বেহার শিনওয়ারির ২০ বলে ৩৮ রান বাদ দিলে কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। সায়িদ খান ও জোহাইব তিনটি করে উইকেট নেন।

এ জয়ের ফলে লিগ টেবিলের শাহিন হান্টাররা চার ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে। অন্যদিকে আবাসিন লিগ টেবিলের নিচে রয়েছে। তাদের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com