দলের সহ অধিনায়ক তিনি, অনেক দায়িত্ব তার কাঁধে। তবে ব্যাটে-বলে তেমন মেলাতে পারছিলেন না লিটন দাস। বারবার করেছিলেন হতাশ। তবে অবশেষে হতাশা দূরে ঠেলেছেন, আপন শক্তিতে জ্বলে উঠেছেন। বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে প্রথম ৫০ তুলে নিয়েছেন। সেই সাথে জিতিয়েছেন দলকেও। হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
সব মিলিয়ে দারুণ একটা দিন পাড় করলেন লিটন। লিটনের জন্য দিনটা কতটা স্বস্তির, তার ৪৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস যা বুঝাতে পারবে না কখনোই। যাহোক তার ব্যাটে ভর করেই ব্রাম্পটন উলসভকে ৬ উইকেট হারিয়েছে জাগুয়ার্স। তাদের দেয়া ১২৯ রানের লক্ষ্য ১১ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে লিটনের দল।
অথচ লিটন যখন মাঠে নামেন, চাপের পাহাড় তখন চেপে বসে আছে মাথায়। প্রথমত দায়িত্ব, তার উপর ছন্দহীনতা। ভালো শুরু করেও আগের ম্যাচগুলোতে বড় করতে পারেননি ইনিংস। ফলে আজ নিজেকে চেনানোর প্রয়োজন ছিল। তার সাথে ৪.৩ ওভারে মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল তখন ধুঁকছিল।
পাঁচে নামা ইফতিখারকে সাথে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন লিটন। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তোলে নেন তিনি। ইফতেখারের সাথে গড়ে তুলেন প্রায় এক শ’ ছোঁয়া জুটি। ৮০ বলে তাদের ৯৯ রানের জুটি ভাঙে অবশ্য লিটনের বিদায়েই। সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় ৫৯ করে ফেরেন তিনি। তবে ততক্ষণে জয়ের খুব কাছে সারে।
অবশ্য শেষ পর্যন্ত থেকে জাগুয়ার্সের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন ইফতিখার। এই পাকিস্তানি ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে। যা জাগুয়ার্সের ছয় ম্যাচে তৃতীয় জয়। দুটো ম্যাচ ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে তারা। এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৮ রান তুলে ব্রাম্পটন। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন গ্র্যান্ডহোম। তাছাড়া সমান ১৪ রান করে এসেছে অ্যারন জনসন, মার্ক চ্যাপম্যান এবং নীতিশ কুমারের ব্যাট থেকে। জাগুয়ার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আমার খালিদ, ম্যাথু ফোর্ড ও আয়ান খান।
ম্যাচ শেষে ক্যারিবীয় কিংবদন্তী ক্রিকেটার স্যার ক্লাইভ লয়েডের হাত থেকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার গ্রহণ করেন লিটন।