হঠাৎ মঙ্গলবার দুপুরে গরম হয়ে উঠে ক্রিকেট পাড়া। প্রথমে নির্বাচক, এরপর বোর্ডের একাধিক পরিচালককে দেখা যায় বিসিবি সভাপতির কার্যালয়ে। জানা যায়, বিশেষ মিটিং ডেকেছেন বিসিবি সভাপতি, তবে কি নিয়ে আলোচনা হবে তা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা।
কেন এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কথা না বললেও খোঁজ নিয়ে জানা যায় দুই সিনিয়র ক্রিকেটার; তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়েই আলোচনা হয়েছে সভায়। তাদের নিয়ে করণীয় ঠিক করতে নির্বাচক ও কর্তাদের নিয়ে আলোচনা করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মূলত এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে সাময়িক সমস্যা মেটাতেই এই আয়োজন। তামিম ইকবালের সাথে ম্যানেজমেন্টের সম্পর্কের তিক্ততা এখন আর অজানা নয়। যার সুবাদে অবসরের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তামিম। তবে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসর ভাঙার ঘোষণা দিলেও তার দলে ফেরা নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা।
তামিম ফেরেন বা না ফেরেন, আরো একটা প্রশ্নের মুখে এখনো দাঁড়িয়ে বিসিবি। সেটা হলো ওয়ানডে অধিনায়কত্ব। বিশ্বকাপ আসতে মাস দুয়েক বাকি থাকলেও এশিয়া কাপ গড়াবে চলতি মাসেই। সেই লক্ষ্যে দল প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলেও এখনো কে হবেন এই দুই আসরে বাংলাদেশের অধিনায়ক, এই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তামিম রাখলে তো হলোই, অন্যথায় নতুন অধিনায়ক নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বোর্ডকে।
মাহমুদউল্লাহকে নিয়েও মতভেদ আছে। প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে সহ নির্বাচকরা মাহমুদউল্লাহকে এখন আর বিশ্বকাপ দলে দেখতে চান না। তবে মাহমুদউল্লাহর পক্ষে অনেক বোর্ড পরিচালক যে কথা বলছেন, এটাও এখন ওপেন সিক্রেট। ফলে মাহমুদউল্লাহর ভাগ্যও এখনো দুল্যমান অবস্থানে।
ধারণা করা হচ্ছে, এ নিয়ে নিজের কর্মস্থল ধানমন্ডির বেক্সিমকো অফিসে বৈঠক ডাকেন বিসিবি প্রধান। যেখানে উপস্থিত হন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সাথে ছিলেন নির্বাচক কমিটির অন্য দুই সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন এবং আবদুর রাজ্জাক। পরে একাধিক বোর্ড কর্তাও যুক্ত হবার সংবাদ পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ ৩টায় গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠক শুরু হয়। তবে রুদ্ধদ্বার সে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সাথে বিশেষ কোনো কথা বলেননি বোর্ড প্রধান। এক ফাঁকে শুধু বলেন, ‘ইমার্জিং দল, বাংলা টাইগার্সের কী অবস্থা এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ধারাবাহিকভাবে মিটিং চলছে।’