চীনের উহানে করোনাভাইরাস এনেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। গত বৃহস্পতিবার টুইট করে চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। এরপর শুক্রবারই আমেরিকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত সুই তিয়ানকাইকে তবল করল মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র কেন এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তা কারণ জানতে চাইছে তারা। এর পিছনে শি জিনপিংয়ের নির্দেশ আছে কিনা তাও জানতে চায় তারা।
শুক্রবার এই বিষয়ে পূর্ব এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন কর্মকর্তা ডেভিড স্টিলওয়েল বলেন, ‘সারা বিশ্ব যখন এই মহামারি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় খুঁজছে। সবাই যখন বিষয়টি নিয়ে প্রচণ্ড আতঙ্কিত। এবং এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য চিনের তীব্র সমালোচনা করছে। ঠিক তখনই বিশ্বের নজর অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে তারা। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের উসকানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মন্তব্য করা খুবই মারাত্মক। আমরা চীনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই যে এই ধরনের মন্তব্য আমরা কখনই বরদাস্ত করব না। এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলে চিনের নাগরিকদেরও ভালো হবে।’
কিছুদিন আগে জল্পনাটি উসকে দিয়েছিল রাশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমে। তাদের একটি অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়েছিল যে চীনে করোনা ভাইরাসের প্রবেশ ঘটেছে আমেরিকার জন্যই। ডোনাল্ড ট্রাম্পই এই মারণ ভাইরাস সেখানে ঢোকানোর নেপথ্যে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপরই এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় আমেরিকার তরফেও। যদিও চীনের তরফে তখন এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
কিন্তু, বৃহস্পতিবার সেই একই অভিযোগ একটু চড়া সুরে জানানো হয় চীনের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার রাতে টুইট করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দাবি করেন, সম্ভবত আমেরিকার সেনাই হুবেই প্রদেশের ইউহান শহরে করোনা ভাইরাস ঢুকিয়েছে। যদিও এই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন