শেষ হলো সাকিব-লিটনের এলপিএল যাত্রা। আক্ষেপ নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে তাদের, সুযোগ পেয়েও দলকে তুলতে পারেননি ফাইনালে। টানা দুটি কোয়ালিফায়ারে হেরে এবারের আসর থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে তদের দল গল টাইটান্সের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বি লাভ ক্যান্ডির কাছে হেরেছে ৩৪ রানে।
শনিবার প্রেমাদাসায় আগে ব্যাট করে ক্যান্ডি তোলে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান। যা তাড়া করতে নেমে সাকিবদের দল আটকে যায় ৮ উইকেটে ১২৩ রানে। বল হাতে ১ উইকেট ও ব্যাট হাতে ১৭ রান করেন সাকিব, লিটনের ব্যাটে আসে ১৯ বলে ২৫ রান। তবে ইনিংসটা যদি বড় করতে পারতেন দু’জনে, তবে গল্পটা ভিন্নও হতে পারতো।
গলের আইকন ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব পা রেখেছিলেন শ্রীলঙ্কাতে, শুরুটাও করেছিলেন দাপুটে। তবে সময়ের সাথে সাথে রং হারিয়েছেন সাকিব। বল হাতে দুর্বোধ্য, তবে ব্যাট হাতে নিজের নামের সুবিচার করতে পারেননি। ৯ ইনিংসে ১৭.২৫ গড়ে মোটে ১৩৮ রান তার। স্ট্রাইকরেট ১১৫। বল হাতে ৫.৭১ ইকোনমিতে আছে ১০ উইকেট।
সাকিবের সামনে সুযোগ ছিলো আজকের ম্যাচেও, আরো একবার নায়ক হয়ে উঠতে পারতেন তিনি। তবে দুই-দু’বার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ফেরেন ১৫ বলে ১৭ রান করে। অথচ নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেললেই জয়ের পথে থাকতো গল। একই কথা লিটনের সমীপেও৷ প্রথম ১১ বল থেকে ২১ রান তুলেও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাননি।
গলকে অবশ্য ভালো একটা শুরু এনে দিয়েছিলেন লিটন ও লাসিথ ক্রুসপুলে। তবে কাছাকাছি সময়ে এই দুই ওপেনার ফিরলে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে গলের ইনিংস। চার নম্বরে নেমে প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিবও। সোনাই দিনুশার ৩২ বলে ২৮ রানের ইনিংসটাই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ।
এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কেন্ডিকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি টপ অর্ডার। মাত্র ২০ রানেই ফেরেন তিনজন। যেখানে রানের খাতা খুলার আগেই শাহান আর্চিঙ্গেকে ফেরান সাকিব। প্রথম ওভারেই ১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেও, চার ওভার শেষে তার পারফরম্যান্স ছিল ৪-০-২৪-১।
যাহোক, এরপর কেন্ডির হাল চান্দিমাল ও হাসারাঙ্গা। দুজনে একসাথে যোগ করেন ৭২ রান। চান্দিমাল ৩৭ বলে ৩৮ ও ৩০ বলে ৪৮ রান করেন হাসারাঙ্গার। এরপর ম্যাথুসের ১৭ বলে ২৪, আসিফ আলীর ১১ বলে ১০ ও চতুরাঙ্গা ডি সিলভার অপরাজিত ৬ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় ক্যান্ডি।