লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের নতুন চ্যাম্পিয়ন বি লাভ ক্যান্ডি। প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো তারা। জোড়া হারে আসর শুরু করা দলটাই প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য গল্প লিখলো। ফাইনালে না থেকেও শিরোপা জয়ের নায়ক হাসারাঙ্গা, আসরের সেরা খেলোয়াড় তিনি।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে রোববার মাঠে গড়ায় ফাইনাল। আগে ব্যাট করে ডাম্বুলা থামে ১৪৭ রানে। জবাবে ১ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যান্ডি। ডাম্বুলাকে হারায় ৫ উইকেটে। যদিও ফাইনালে খেলা হয়নি তাদের নিয়মিত অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার, নেতৃত্ব দেন অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউস।
হাসারাঙ্গা যদিও ফাইনালে ছিলেন না, চোটের কারণে থাকতে হয়েছে একাদশের বাইরে। তবে ক্যান্ডির শিরোপা জয়ের নায়ক তিনিই। জোড়া হারে আসর শুরু করা দলটাকে বদলে দিয়েছেন তিনি। ব্যাটে বলে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। তার জেতা পুরস্কারগুলোই তার পক্ষেই কথা বলে।
আসরের প্রায় সব পুরস্কার নিজের নামে করে নিয়েছেন হাসারাঙ্গা। সর্বোচ্চ ২৭৯ রান করে গ্রীন ক্যাপ, সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট নিয়ে অরেঞ্জ ক্যাপ ও সর্বোচ্চ ছক্কা (১৪) পুরস্কারসহ আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি। সেরা উদীয়মান লাসিথ ক্রসপুল্লে, সেফ হ্যান্ড পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিড মিলার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমার ব্যাটে ভর দিয়ে যদিও ভালো শুরু পায় ডাম্বুলা, যদিও রানের গতি ছিল না। ৫৭ রানের জুটি ভেঙে দুজনেই ফেরেন প্রায় একসাথে। ২৩ বলে ২২ করেন মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমা করেন ৩০ বলে ৩৬ রান।
এমতাবস্থায় দলের হাল ধরেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। চতুর্থ উইকেটে কুসাল পেরেরার সাথে তিনি গড়েন ৪৬ বলে ৬৩ রানের জুটি। যদিও ২৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন ধনাঞ্জয়া, পেরেরা অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ৩১ রান করে। তবে দলীয় সংগ্রহ দেড় শ’ পার করতে পারেনি ডাম্বুলা।
রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান তুলেন ক্যান্ডির দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হারিস ও কামিন্দু মেন্ডিস। তবে পরের ওভারে হারিস ২২ বলে ২৬ করে ফিরলে ভাঙে ৪৯ রানের জুটি। তবে এরপর চান্দিমালকে নিয়ে আরো ৪৫ রান যোগ করেন কামিন্দু। ৩৭ বলে ৪৪ করে ফেরেন তিনি।
দলের রান শতক পেরোলে জোড়া উইকেট হারায় ক্যান্ডি। চান্ডিমাল ২২ বলে ২৪ ও সিলভা ফেরেন ০ রানে। তবে আসিফ আলির ১০ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে জয়ের পথেই থাকে ক্যান্ডি। বাকি কাজটা করেন ম্যাথিউজ, ২১ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় ও শিরোপা, উভয়টাই নিশ্চিত করেন তিনি।